সন্দেহ করায় স্ত্রীকে খুন, র‌্যাবের হাতে ধরা

প্রকাশ | ২০ জানুয়ারি ২০২২, ১৭:৩৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

পরকীয়ায় জড়িয়েছেন এমন সন্দেহ করার কারণে স্ত্রী আছিয়া আক্তার রিতুকে শ্বাসরোধে হত্যার পর পালিয়ে যান এনামুল হক। এই ঘটনার প্রায় ১৩ দিন পর র‌্যাবের হাত ধরা পড়লেন এনামুল হক। 

র‌্যাবের ভাষ্যমতে, প্রায় ছয় মাস আগে এনামুলের সঙ্গে রিতুর প্রেমের সম্পর্ক হয়। দেড় মাস আগে তারা দুজন কাজী অফিসে গিয়ে পরিবারের অনুমতি ছাড়া বিয়ে করেন। বিয়ের পর এনামুল হকের সঙ্গে অন্য মেয়ের অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে বলে সন্দেহ করেন রিতু। গত ৭ জানুয়ারি রাতে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে এনামুল হক রিতুকে তার গায়ের ওড়না দিয়ে গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। পরে তার লাশ বাথরুমে ফেলে রেখে পালিয়ে যান।

গাজীপুরের টঙ্গী থেকে এনামুলকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১। এ সময় তার কাছ থেকে নিহতের ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোনসহ দুটি মোবাইল ফোন এবং নগদ দুই হাজার ৬০ টাকা উদ্ধার করা হয়। 

বৃহস্পতিবার র‌্যাব-১ জানায়, ৭ জানুয়ারি রাত আটটা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে  আছিয়া আক্তার রিতুকে পরিকল্পিতভাবে ওড়না দিয়ে গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে তার লাশ টয়লেটের ভেতর ফেলে পালিয়ে যান। শ্রীপুর থানা পুলিশ গত ৯ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শ্রীপুর থানার কেওয়া পূর্ব খণ্ড এলাকার রতনের বাড়ি থেকে আছিয়া আক্তার রিতুর লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা গাজীপুরের শ্রীপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

রিতু গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানার চন্নপাড়া ৭ নম্বর ওয়ার্ড পৌরসভার মো. বকুল হোসেনের মেয়ে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব জানায়, র‌্যাব-১ গাজীপুরে রিতু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অপরাধীকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায়। বুধবার বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে র‌্যাব-১ এর একটি দল গাজীপুরের টঙ্গী পূর্ব থানার ৭ নম্বর গেইট, পূবাইল রোড (ওভার ব্রিজের নিচে) এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানে রিতু হত্যার সাথে জড়িত পলাতক আসাসি এনামুল হককে গ্রেপ্তার করে।  এনামুল টাঙ্গাইলের মো. শফিকুল ইসলামের ছেলে।

(ঢাকাটাইমস/২০জানুয়ারি/এএ/জেবি)