আমরণ অনশনে অসুস্থ শাবি শিক্ষার্থীরা, হাসপাতালে ভর্তি ৮

প্রকাশ | ২১ জানুয়ারি ২০২২, ০৯:০১

শাবি প্রতিনিধি
ঢাকাটাইমস

উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আমরণ অনশনে বসে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আমরণ অনশনে বসা ২৪ শিক্ষার্থীর মধ্যে আটজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

দীর্ঘ ৩৫ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে অনশনে থেকে গুরুতর অবস্থার দিকে যেতে থাকা আট শিক্ষার্থীকে বৃহস্পতিবার মধ্যরাত পর্যন্ত একে একে হাসপতালে নেওয়া হয়। এর আগে অনশন শুরুর দ্বিতীয় দিনে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ১০ জন অনশনকারী অসুস্থ হয়ে পড়েন। এদের মধ্যে দুজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে রাত ভর্তি করা হয় আরও কয়েকজনকে।

এদিকে টানা অনশনে থাকায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন প্রায় সব শিক্ষার্থী। তাদের অনেককেই অনশনস্থলেই স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে অ্যাম্বুল্যান্স।

সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২নং ওয়ার্ডে কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. আশরাফুল জানান, অনশনরত শিক্ষার্থীদের অবস্থা ক্রমশই খারাপের দিকে যাচ্ছে। যারা আগে থেকেই এজমা বা শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে ভুগছিলেন, তাদের একটু সমস্যা হচ্ছে। 

তিনি বলেন, আমরা স্যালাইন দিয়েছি। বেশি সময় অতিবাহিত হলে হয়তো তাদের জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।

চেষ্টা করেও শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙানো যায়নি জানিয়ে এ চিকিৎসক বলেন, যদি এ অবস্থা চলতে থাকে তাহলে অবস্থা আরও খারাপের দিকে যাবে।

শিক্ষকদের পক্ষ থেকে বারবার আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হলেও- তা ফিরিয়ে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) দুই দফায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষক আন্দোলনকারীদের কাছে আলোচনার প্রস্তাব নিয়ে যান। তবে শিক্ষার্থীরা তাদের আন্দোলনে সংহতি না জানানো কারো সাথে আলোচনা করতে রাজী হননি।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষে নাফিজা আনজুম বলেন, 'যে উপাচার্য শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও গুলির নির্দেশ দেন। তার কাছে আমরা শিক্ষার্থীরা কোনোভাবেই নিরাপদ অনুভব করছি না। তার অধীনে আমরা কিছুতেই ক্লাসে ফিরে যাব না। তাকে পদত্যাগ করতেই হবে।'

এক হল প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার থেকে আন্দোলন শুরু করে শাবির সিরাজুন্নেছা হলের ছাত্রীরা। রোববার তারা উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদকে অবরুদ্ধ করে রাখলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে উপাচার্যকে মুক্ত করে। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ অর্ধ-শতাধিক আহত হন। ওই রাত থেকে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। বুধবার থেকে অনশন শুরু করেন তারা। 

(ঢাকাটাইমস/২১জানুয়ারি/ ইএস)