শিল্পী সমিতির নির্বাচনে নামিদামি তারকারা প্রায় সবাই সরব, কিন্তু পপি নেই কেন?

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২১ জানুয়ারি ২০২২, ১৪:২৩ | প্রকাশিত : ২১ জানুয়ারি ২০২২, ১৩:১১

আসন্ন শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে ঘিরে এফডিসিতে উৎসবের আমেজ। অভিনয়শিল্পীদের আনাগোনা বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। বিশেষ করে যারা প্রার্থী হয়েছেন এবং যারা ভোটার। গোটা এফডিসি এলাকা সয়লাব প্রার্থীদের পোস্টারে। এবারের নির্বাচনে দুটি প্যানেল। একটি মিশা-সওদাগর ও জায়েদ খানদের। অন্যটি ইলিয়াস কাঞ্চন ও নিপুণদের।

শক্তিশালী এই দুই প্যানেলেই বিভিন্ন পদে লড়ছেন চলচ্চিত্রের একঝাঁক তারকা। সেখানে নায়কদের মধ্যে আছেন রিয়াজ, অমিত হাসান, ডিএ তায়েব, নিরব, ইমন, সায়মন, বাপ্পারাজ, আলীরাজ, আলেকডান্ডার বো, জয় চৌধুরী, রুবেল, আসিফ ইকবাল। নায়িকাদের মধ্যে আছেন মৌসুমী, রোজিনা, অঞ্জনা, সূচরিতা, অরুনা বিশ্বাস, কেয়াসহ আরও কয়েকজন।

কিন্তু এবারের নির্বাচনে অনুপস্থিত একটি সুপরিচিত মুখ। তিনি আলোচিত চিত্রনায়িকা সাদিকা পারভীন পপি। যিনি ২০১৭-২০১৯ মেয়াদের নির্বাচনে মিশা-জায়েদ প্যানেলের হয়ে কার্যনির্বাহী পদে লড়াই করেছিলেন এবং জয়ীও হয়েছিলেন। কিন্তু কিছুদিন পরই মিশা-জায়েদদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে কমিটি থেকে বের হয়ে যান পপি।

এরপর ২০১৯-২০২১ মেয়াদের নির্বাচনে কোনো প্যানেল থেকে প্রার্থী হননি এই নায়িকা। তবে সমর্থণ করেছিলেন আরেক জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা মৌসুমীকে। তার পক্ষে কাজও করেছিলেন। গতবার স্বতন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে সভাপতি পদে লড়েছিলেন মৌসুমী। কিন্তু হেরে যান মিশা সওদাগরের কাছে। সে বার মৌসুমীর পক্ষে দৌড়ঝাঁপ করায় মিশা-জায়েদদের চক্ষুসূল হয়েছিলেন পপি।

কিন্তু এবার তো নায়িকার ছায়াও দেখা যাচ্ছে না। নির্বাচনের মাঠ তো দূরে থাক, ২০২০ সালে করোনা মহামারি শুরুর পর থেকেই তিনি লাপাত্তা। কোনো খোঁজই নেই পপির। না তাকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছে, না সোশ্যাল মিডিয়ায়। দুই পরিচালকের দুটি ছবির কাজ ঝুলিয়ে রেখে অন্তরালে চলে গেছেন এই নায়িকা। পপির সন্ধান দিচ্ছে না তার পরিবারও।

ঢালিউডের বাতাসে গুঞ্জন, কোনো এক শিল্পপতিকে গোপনে বিয়ে করে সংসার করছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী পপি। থাকছেন ওই শিল্পপতির দেওয়া আলিশান ফ্ল্যাটে। এও গুঞ্জন, ওই শিল্পপতি নাকি বিবাহিত। তার সন্তানও আছে। যদিও সেই শিল্পপতির নাম পরিচয় জানা যায়নি। তিনি নাকি দেশের বড় একটি ডকইয়ার্ডের মালিক।

গত বছরের নভেম্বরে আবার নতুন গুঞ্জন ওঠে, পপি মা হয়েছেন। রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছেন। পপির ঘনিষ্ঠ এক সূত্র সে সময় এ খবর নিশ্চিতও করেন। কিন্তু সন্তানসহ এখনও প্রকাশ্যে আসেননি পপি। রয়েছেন আড়ালেই। কবে সেই আড়াল ভাঙবেন তা কেবল নায়িকা নিজেই জানেন।

এর আগে ২০১৭-২০১৯ মেয়াদের নির্বাচনের পর অভিনেত্রী পপির বিরুদ্ধে শিল্পীদের জন্য ফান্ড গঠনের উদ্দেশে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান থেকে পারিশ্রমিক নেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন তার কমিটির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক মিশা সওদাগর ও জায়েদ খান। একই অভিযোগ তোলা হয় ওই নির্বাচনে সহসভাপতি পদে জয়ী চিত্রনায়ক রিয়াজ এবং কার্যনির্বাহী সদস্য ফেরদৌসের বিরুদ্ধেও।

সে সময় মিশা সওদাগর একটি সাক্ষাৎকারে এমন অভিযোগ তুলে বলেছিলেন, শিল্পীদের প্রতি তাদের (রিয়াজ, ফেরদৌস, পপি) কোনো দায়বদ্ধতা নেই। থাকলে তারা শিল্পীদের জন্য আয়োজিত অনুষ্ঠান থেকে টাকা নিতে পারতেন না। পরে মিশার সুরে সুর মিলিয়ে তিন তারকার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেন জায়েদ খানও।

পরে এই অভিযোগের প্রতিবাদ করে মিশা-জায়েদ কমিটি থেকে রিয়াজ-ফেরদৌসের সঙ্গে বেরিয়ে যান পপিও। এর মধ্যে রিয়াজ এবারের নির্বাচনে ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেল থেকে সহসভাপতি পদে লড়ছেন। তবে কোনো প্যানেলের প্রার্থী হননি ফেরদৌস। কারও সমর্থনেও তাকে দেখা যাচ্ছে না। আর পপি? তার তো খোঁজই নেই।

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির এবারের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৮ জানুয়ারি। মোট ভোটার ৪২৮ জন। দুই প্যানেল এবং স্বতন্ত্র মিলে মোট প্রার্থী ৪৪ জন। এবার নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন অভিনেতা পীরজাদা হারুন। আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যানের ভূমিকায় দেখা যাবে পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানকে।

ঢাকাটাইমস/২১জানুয়ারি/এএইচ

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :