কমেছে মুরগি বেড়েছে ভোজ্য তেলের দাম, অপরিবর্তিত সবজি

প্রকাশ | ২১ জানুয়ারি ২০২২, ১৩:২৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে কমেছে মুরগির দাম। সেই সঙ্গে লিটার প্রতি ৮ টাকা বেড়েছে ভোজ্য তেলের দাম। এদিকে গত সপ্তাহের মতোই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি। শীতের মৌসুমে সবজির এমন চড়া দাম নিয়ে ক্রেতাদের মাঝে অসন্তোষ রয়েছে।

শুক্রবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, শ্যামলী সমবায় বাজার, আগারগাঁও বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে বাজার দরের এসব চিত্র উঠে এসেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজধানীর বাজারগুলোতে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে টাকা। যা গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির কেজি ছিল ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা। সেই সঙ্গে সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে কেজি ছিল ২৬০ টাকা। এছাড়া লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকা। যা গত সপ্তাহে কেজি ছিল ২৪০ টাকা।

মুরগি বিক্রেতা মিন্টু শেখ বলেন, শীতে মুরগীর আমদানি বেড়েছে। তবে আমদানি অনুযায়ী চাহিদা কম। বিক্রিও কম। তাই বাজারে মুরগির দাম কমেছে।

এদিকে এসব বাজারে বেড়েছে ভোজ্য তেলের দাম। লিটার প্রতি ৮ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৬৮ টাকা। যা গত সপ্তাহে লিটার বিক্রি হয়েছিল ১৬০ টাকায়।

এদিকে সরেজমিনে রাজধানীর সবজি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত কয়েক সপ্তাহের মতই বাজারে এখনও চড়া দামে সবজি বিক্রি হচ্ছে। আমদানী বাড়লেও দামে কোন প্রকার প্রভাব পরছে না এসব সবজির। এসব বাজারে প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা, গোল বেগুন ৮০ টাকা, লম্বা বেগুন ৪০ টাকা, বড় ফুলকপি প্রতি পিস ৪০ টাকা, বড় বাঁধাকপি ৪০ টাকা, টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, গাঁজর প্রতি কেজি ৪০ টাকা, চাল কুমড়া পিস ৩০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, নতুন আলু কেজি ২৫ থেকে ৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, লতি ৬০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, আকারভেদে প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা, পেঁপে প্রতিকেজি ৩০ টাকা, কাঁচা কলার হালি ২৫ থেকে ৩০ টাকা এবং কাঁচামরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা।

তবে বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে  দাম কমেছে পেঁয়াজ ও গোল আলুর। দাম কমে  দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা কেজি। ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি। যা গত সপ্তাহে ছিল ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। দাম কমে পুরান ও নতুন আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা।

এছাড়া বাজারে চায়না রসুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা। দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি। দেশি আদার কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা। চায়না আদা বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা।

ব্যবসায়ি রবিন হোসেন বলেন, বাজারে নতুন পেঁয়াজের আমদানি বেড়েছে। এখন পেঁয়াজের সিজন হওয়ায় আমদানির সঙ্গে দামও কমেছে।

সরেজমিনে রাজধানীর মাছবাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা প্রতি পিস, ছোট ইলিশ মাছ কেজি প্রতি ৩৫০ থেকে শুরু করে ৬০০ টাকা পর্যন্ত। চিংড়ি মাছ ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি। রুই মাছ ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা। কাতল মাছ ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা। তেলাপিয়া ও পাঙাশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা।

এদিকে বাজারে লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। সোনালী (কক) মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা।

(ঢাকাটাইমস/২১জানুয়ারি/কেআর/ইএস)