সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর ১১ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২১ জানুয়ারি ২০২২, ১৭:০৯

নিরাপদ সড়কের দাবিতে এবং সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে রাজধানীর রামপুরা ব্রিজে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় ১১ দফা দাবি জানায় তারা।

শুক্রবার সকালে রামপুরা ব্রিজে এই কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা।

বিক্ষোভ কর্মসূচির সমন্বয়কারী সোহাগী সামিয়া বলেন, এখন পর্যন্ত আমাদের দাবির বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া পাইনি। বাসের মালিক পক্ষ বাধ্য হয়ে হাফ পাস নিশ্চিত করলেও সেটা জনগণবান্ধব নয়। সরকারি দিবসগুলোতে এখনো হাফ ভাড়া নেওয়া হয় না। আমরা প্রশাসনকে সময় দিয়েছি। কিন্তু তারা আমাদের দাবির বিষয়ে নিশ্চুপ। আমরা আজ এক ঘণ্টার মতো রাস্তার পাশে অবস্থান নিয়েছি। পাঁচ ছয় দিন পর আবার নতুন কর্মসূচি দেওয়া হবে। যা করলে দাবি আদায় হবে, এবার আমরা সেটাই করব।

বিক্ষোভ কর্মসূচিতে রামপুরার আশপাশের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের হাতে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড দেখা গেছে। যেগুলোতে লেখা ছিল- ‘নিরাপদ সড়ক চাই, নিরাপদ বাংলাদেশ চাই’, ‘সড়কের দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলুন, লড়াই করুন’, ‘বাসে নারী যাত্রীদের সম্মান দিতে হবে’, ‘আমরা আছি থাকব, যুগে যুগ লড়ব’ ইত্যাদি।

শিক্ষার্থীদের ১১ দফা দাবি

১. সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত নাঈম হাসান ও মাইনুদ্দীন ইসলাম দুর্জয়ের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। গুলিস্তান ও রামপুরায় পথচারী পারাপারের জন্য ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করতে হবে।

২. সারাদেশের গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের হাফভাড়া নিশ্চিত করতে সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে। এজন্য দিন-রাত বা ছুটির দিনসহ কোনো শর্ত জুড়ে দেওয়া যাবে না। বর্ধিত বাসভাড়া প্রত্যাহার করতে হবে। সব রুটে বিআরটিসির বাস বাড়াতে হবে।

৩. সব ধরনের পরিবহনে নারীদের অবাধ যাত্রা নিশ্চিত করতে হবে। তাদের সঙ্গে সৌজন্য ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

৪. লাইসেন্সবিহীন চালককে নিয়োগদানকারী প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। গাড়ির নিবন্ধন, ফিটনেস কার্যক্রম ও লাইসেন্স দানে বিআরটিএর দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

৫. সব সড়কে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করতে হবে। ট্রাফিক পুলিশের সংখ্যা বাড়াতে হবে। ট্রাফিক পুলিশের ঘুষ দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে।

৬. সব রুটে প্রতিযোগিতা বন্ধে এক গ্রুপ বা কোম্পানির মাধ্যমে সব বাস চালানোর ব্যবস্থা করতে হবে। বাস অনুযায়ী মালিকদের মধ্যে লাভের টাকা বন্টনের নিয়ম করতে হবে।

৭. শ্রমিকের নিয়োগপত্রে পরিচয় নিশ্চিত করতে হবে। বাস চালক ও হেলপারদের চুক্তির পরিবর্তে সব গণপরিবহন টিকিট পদ্ধতিতে চালানোর ব্যবস্থা করতে হবে। শ্রমিকদের জন্য বিশ্রামাগার ও টয়লেটের ব্যবস্থা করতে হবে।

৮. গাড়ি ও চালকের কর্মঘণ্টা এক নাগাড়ে ছয় ঘণ্টার বেশি হতে পারবে না। বাসে দুজন চালক ও দুজন সহকারী থাকতে হবে। পর্যাপ্ত বাস টার্মিনাল তৈরি করতে হবে। শ্রমিকদের জন্য যথাযথ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।

১০. যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের মতামত নিয়ে সড়ক পরিবহন আইন সংস্কার করতে হবে এবং এর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। ট্রাক ও ময়লার গাড়ি চলাচলের জন্য রাত ১২টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত নির্ধারণ করতে হবে।

১১. মাদক প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। নিয়মিত ডোপ টেস্ট ও কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।

(ঢাকাটাইমস/২১জানুয়ারি/কেআর/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজধানী বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজধানী এর সর্বশেষ

কামরাঙ্গীরচর নাগরিক পরিষদ প্রতিনিধিদের সঙ্গে মেয়র তাপসের মতবিনিময়

মতিঝিলের ফুটপাতে পড়েছিল বৃদ্ধার মরদেহ

মিরপুর বিআরটিএ’তে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, ৪ দালালকে সাজা

খিলক্ষেতে ৬০ কোটি টাকার খাসজমি উদ্ধার

রাজারবাগের পুকুরে ডুবে পুলিশ সদস্যের মর্মান্তিক মৃত্যু, ধরা পড়ল সিসি ক্যামেরায়

চার নারী একসঙ্গে ওয়াশরুমে! সেই রাতে গুলশানে কী হয়েছিল, জানালেন ভুক্তভোগী

রাজধানীতে ছাদ থেকে লাফ দিয়ে নারীর আত্মহত্যা

সংসদ এলাকায় ড্রোন উড়িয়ে আটক সাবেক এমপিপুত্র, ছাড়া পেলেন মুচলেকায়

গুলশানে ‘মাতাল’ হয়ে মারামারিতে জড়ানো তিন তরুণী গ্রেপ্তার, বারের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা

ভাষানটেকে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: মা ও স্ত্রীর পর না ফেরার দেশে লিটনও

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :