এশিয়া বুক অব রেকর্ডের স্বীকৃতি পেল ‘টিম খোরশেদ’

প্রকাশ | ২১ জানুয়ারি ২০২২, ১৮:৫৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

মহামারি করোনাযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং দাফন, সৎকার, অক্সিজেন, প্লাজমা, অ্যাম্বুলেন্স ও টেলিমেডিসিন সাপোর্ট এবং খাদ্য, কর্ম ও শিক্ষা সহায়তা প্রদান করায় ‘এশিয়া বুক অব রেকর্ড’-এর স্বীকৃতি লাভ করেছে ‘টিম খোরশেদ’।

টিম লিডার নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ শুক্রবার বিষয়টি ঢাকা টাইমসকে জানিয়েছেন।

ভারতের হায়দরাবাদে অবস্থিত ‘এশিয়া বুক অব রেকর্ড’-এর প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো সনদপত্র, মেডেল ও স্যুভেনির বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে টিম খোরশেদের কাছে পৌঁছেছে বলে জানান তিনি।

খন্দকার খোরশেদ বলেন, আমরা মহান আল্লাহর দরবারে লাখো কোটি শোকরিয়া জানাই। আমরা স্বীকৃতির জন্য নয়, মানুষের জন্য কাজ অব্যাহত রাখতে চাই। আবারও করোনা বাড়ছে আর আমরা এবারও প্রস্তুত মানুষের জন্য সর্বোচ্চটুকু করতে।

এই অর্জনকে টিম মেম্বারদের প্রতি উৎসর্গ করেন তিনি৷ বলেন, এই স্বীকৃতি আমাদের সব স্বেচ্ছাসেবকের ত্যাগের ফসল ও আল্লাহর রহমত। আমরা আমাদের ওয়াদা মোতাবেক করোনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত টিম খোরশেদ সক্রিয় থাকবে ইনশাআল্লাহ।

টিম খোরশেদের কার্যক্রম সম্পর্কে টিম লিডার খোরশেদ বলেন, করোনা নামক মরণঘাতী মহামারি দামামা বাজিয়ে সারা বিশ্বকে টালমাতাল করে। ৮ মার্চ ২০২০ থেকে নারায়ণগঞ্জে করোনা শনাক্ত হয়। সারা শহরের পাশাপাশি দেশব্যাপী এক অজানা মৃত্যু ভয় শঙ্কিত করে তুললো সবাইকে। মৃত্যু ভয়ের মধ্যেই সিদ্ধান্ত নিলাম আমরা করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামবো। এভাবেই আমাদের শুরু। সপ্তাহখানেক পরে ১৮ মার্চ সরকারিভাবে ঘোষিত হয় করোনায় একজনের মৃত্যু সংবাদ। চারদিকে ছড়িয়ে পড়লো মৃত্যু ভয়। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মার্কেট, ফার্মেসিগুলো শূন্য হয়ে গেল, কোথাও পাওয়া যাচ্ছিল না স্যানিটাইজারসহ সুরক্ষাসামগ্রী।

খোরশেদ বলেন, এই অবস্থায় আমরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বিদ্যানন্দ থেকে ফর্মুলা নিয়ে স্যানিটাইজার বানানো শুরু করি। ১৮ থেকে ২৯ শে মার্চ পর্যন্ত আমরা ৬০ হাজার বোতল স্যানিটাইজার ও কাপড় কাচার সাবান প্রক্রিয়াজাত করে ১০ হাজার বোতল লিক্যুইড সাবান তৈরি করে পাড়া-মহল্লা পেরিয়ে সাড়া জেলায় বিনামূল্যে বিতরণ শুরু করি। এ সময়ে আমাদের নিয়ে সাধারণ মানুষ ও মিডিয়ার আগ্রহের সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় আমাদের একটি টিম ওয়ার্কের নামকরণের প্রয়োজন হয়ে পড়ে। আর এভাবেই সৃষ্টি হয় আজকের ‘টিম খোরশেদ'।

(ঢাকাটাইমস/২১জানুয়ারি/বিইউ/জেবি)