ওজন কমানোর কিছু সহজ টিপস

প্রকাশ | ২২ জানুয়ারি ২০২২, ০৯:০৯

ঢাকাটাইমস ডেস্ক

মেদহীন, একটি তন্বী চেহারা আমাদের সবারই স্বপ্ন থাকে। অথচ বাধাহীনভাবে শরীরের ওজন বেড়ে চলেছে তরতরিয়ে। যতই ভাবছেন ওজন সঠিক রাখবেন, ততই যেন দিনে দিনে ওজন বেড়ে চলে। শারীরিক গঠন এবং খাওয়া-দাওয়ার অভ্যাস এর ওপর মানুষের শরীরে মোটা হয়ে যাওয়ার প্রবণতা নির্ভর করে। আর তাই আমাদের সকলকেই একটা নির্দিষ্ট খাদ্যাভ্যাস, একটি সঠিক জীবনযাত্রার ওপর নির্ভর করে চলতে লাগে।

ওজন কমানোর কিন্তু অনেক উপায় আছে। খাওয়া বন্ধ করে দিলেই ওজন কমে না। সেই সঙ্গে মেনে চলতে হয় বেশ কিছু নিয়ম। নিয়ম মেনে খাওয়া, ব্যায়াম, হাঁটা, ঘুম এসব হলে তবেই কমবে ওজন। সেই সঙ্গে মন থেকে খুশি থাকতে হবে। জেনে নিন রোগা হওয়ার সহজ উপায়।

রান্নাঘরে বদল আনুন। ওজন কমাতে যে আপনি প্রস্তুত প্রথমে এটা আপনাকেই ঠিক করতে হবে। সেই মত মানসিক ভাবেও নিজেকে তৈরি করে নিতে হবে। তাই হাতের কাছে থাকা প্রসেসড ফুড, চিনি, ক্রিম মিল্ক, চকোলেট, কার্বোহাইড্রেট এসব একেবারেই সরিয়ে দিতে হবে। মুখরোচক খাবার চোখের সামনে থেকে সরিয়ে নিন। সেই জায়গায় ফল, ডাল, ওটস, কর্নফ্লেক্স, ড্রাই ফ্রুটস এসব রাখুন। রোগা হতে গেলে খুব বেশি কার্বোহাইড্রেট, ফাস্টফুড এসব খাওয়া চলবে না। এতে ওজন কমানোর পরিবর্তে অনেক বেড়ে যায়।

গ্রিন টি পান করুন। গ্রিন টিয়ের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট টক্সিন বের ককে দেয় এবং এর ফলে পেটের অবাঞ্ছিত মেদ কমে যায়। দিনে দু থেকে তিনবার গ্রিন টি পান পারলে সপ্তাহে ৪০০ ক্যালোরি মতো ওজন ঝরবে। সেই সঙ্গে ত্বকও ঝলমলে থাকবে।

খালি পেটে মেথির পানি খেলে যেমন ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে তেমনই দ্রুত রোগাও হওয়া যায়। এছাড়াও মেথি আর মৌরি বিপাক ক্রিয়াকে উন্নত করে। ফলে সারাদিনের খাবার সহজেই হজম হয়ে যায়। আর সকালে মেথির পানি খেলে শরীর থেকে যাবতীয় টক্সিন বেরিয়ে যায়।

ওজন কমাতে গিয়ে ডায়েট থেকে কার্বোহাইড্রেট একদমই বাদ আর শুধু প্রোটিন খাচ্ছেন, এরকমটা করবেন না। কারণ শরীরের জন্য সবটাই প্রয়োজন। কারণ এই তিনটি থেকেই শরীর শক্তি পায়। কোনও একটির ঘাটতি থাকলে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কোনওটাই খুব বেশি খাবেন না। তাই ব্যালান্স ডায়েট মেনে চলার চেষ্টা করুন।

খাবার ধীরে ও চিবিয়ে খান। খুব তাড়াতাড়ি খাবার খেলে যেমন হজম হয় না তেমনই খাবারের স্বাদও ঠিকমতো পাওয়া যায় না। আস্তে আস্তে চিবিয়ে খেলে তা শরীরকে বেশি খাবার খেতে বাধা দেয় এবং মস্তিস্ককে একটা নির্দেশনা প্রেরণ করে যে আমার পেট ভর্তি হয়ে গেছে। এছাড়াও এটি পাচন প্রক্রিয়াকে সহায়তা করে।

খাবারের সঙ্গে প্রোটিন খান। সারাদিনে অন্তত তিনটি বড় মিল ও তিনটে ছোট মিল খান। চর্বিহীন প্রোটিন বেশি খান। যেমন টকদই, পিনাট বাটার, ডিম, মটরশুঁটি, মাংস এসব খাদ্য তালিকাতে রাখুন। সেই সঙ্গে শেক জাতীয় কিছুও রাখতে পারেন। প্রোটিন শেক কিন্তু মেদ ঝরাতে সাহায্য করে।

অতিরিক্ত রান্না করবেন না। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি দেওয়ার জন্য অতিরিক্ত রান্না করবেন না। কারণ অতিরিক্ত রান্না করলে সেই খাবারের পুষ্টিগুণ কিছুই থাকে না। আর তাই যদি একান্ত রান্না করতেই ভালোবাসেন তাহলে বেকড, গ্রিল জাতীয় খাবার বানানোর চেষ্টা করুন। ভালো স্যালাডও বানাতে পারেন।

ডিনার রাত ৮টার মধ্যে সেরে ফেলুন। সব খাবারের মাঝে অন্তত দুঘন্টা গ্যাপ রাখা খুবই জরুরি। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে যদি খিদে পায় তাহলে এককাপ দুধ কিংবা গ্রিন টি খেতে পারেন। আর রাতে শুতে যাওয়ার আগে অবশ্যই ব্রাশ করুন। এতে খিদেও কম পায়। হজমও ভালো হয়। সেই সঙ্গে ভালো ঘুম হওয়াও খুব জরুরি।

(ঢাকাটাইমস/২২জানুয়ারি/জেবি)