বিধিনিষেধে পুঁজিবাজারের লেনদেনে কোনো অনিশ্চয়তা নেই: বিএসইসি

প্রকাশ | ২২ জানুয়ারি ২০২২, ১৬:০৬ | আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২২, ২১:১৭

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাব রোধে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্কুল-কলেজ ও সমমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। পাশাপাশি বিয়ের অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে ১০০ জনের বেশি লোক সমাগমের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালিক বলেছেন, নতুন বিধিনিষেধের মধ্যে অর্ধেক লোকবল নিয়ে অফিস-আদালত খোলা রাখা হবে। এই বিষয়ে শিগগির প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

যেহেতু অর্ধেক লোকবল নিয়ে অফিস-আদালত খোলা থাকবে, ব্যাংকের লেনদেনও অবশ্যই চালু থাকবে। আর ব্যাংকের লেনদেন চালু থাকলে শেয়ারবাজারও চালু রাখা হবে।

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার অধ্যাপক শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ এই বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, পুঁজিবাজার খোলা থাকা না-থাকা নির্ভর করে ব্যাংকের উপর। সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধে যদি ব্যাংক খোলা থাকে, তাহলে পুঁজিবাজার খোলা থাকবে। শেয়ারবাজারের লেনদেন নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা নেই।

উল্লেখ্য, গত ১৩ জানুয়ারি থেকে চলা বিধিনিষেধের পর নতুন করে  শুক্রবার থেকে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্কুল-কলেজ ও সমমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জেলা ও মাঠ প্রশাসন অধিশাখা থেকে এই সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সামাজিক/রাজনৈতিক/ধর্মীয়/রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে ১০০-এর বেশি জনসমাবেশ করা যাবে না। এসব ক্ষেত্রে যারা যোগদান করবেন তাদের অবশ্যই টিকা সনদ বা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পিসিআর সার্টিফিকেট আনতে হবে।

সরকারি/বেসরকারি অফিস, শিল্প-কারখানাগুলোতে কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের টিকা সনদ গ্রহণ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে দায়িত্ব বহন করবেন।

বাজার, শপিং মল, মসজিদ, বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট, রেল স্টেশনসহ সব ধরনের জনসমাবেশে মাস্ক ব্যবহারসহ যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে।

(ঢাকাটাইমস/২২জানুয়ারি/এসকেএস)