কারা ষড়যন্ত্র করেছিল? কী বললেন আইভী?

প্রকাশ | ২২ জানুয়ারি ২০২২, ১৯:১০ | আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২২, ১৯:২৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

এবার মিলিয়ে টানা তিনবার নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। তবে এই তিন নির্বাচনেই তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেছেন।

আইভীর ভাষ্য, ২০১১, ২০১৬ ও ২০২২ এই তিন বছরের সিটি নির্বাচনেই তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, কারা করছেন এই ষড়যন্ত্র? আর কেনই করছেন?

শনিবার সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত ‘সদ্য সমাপ্ত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন: জনপ্রতিনিধি নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং অভিজ্ঞতা’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল সংলাপে বক্তব্য দেওয়ার সময় যড়যন্ত্রের বিষয় নিয়ে কথা বলছিলেন আইভী।

তিনি বলেন, ‘যদিও আমার সরকার ক্ষমতায় আছে, তবুও প্রতিনিয়ত নানা বাধার সম্মুখীন হয়ে সাধারণ মানুষের আস্থা নিয়ে তাদের ভোটে টানা তৃতীয়বারের মতো বিজয়ী হয়েছি।’

সেলিনা হায়াৎ আইভী অভিযোগ করেছেন, আওয়ামী লীগের মধ্যেই কোন্দল রয়েছে। আবার নির্বাচনের সময় প্রশাসনের থেকে তেমন কোনো সুবিধা পাননি তিনি। বরং তার বিপরীতে স্বতন্ত্র নির্বাচন করা তৈমূল আলম খন্দকার বেশি সুবিধা পেয়েছেন।

আইভীর ভাষ্য, ‘আমি বরাবরই ষড়যন্ত্রের শিকার। আমরা দল ক্ষমতায় থাকার পরও এই নির্বাচনে আমি প্রশাসনের কাছ থেকে তেমন কোনো সহযোগিতা পাইনি। বরং আমার বিরোধী প্রার্থী তৈমূর কাকা আমার থেকে বেশি সুবিধা পেয়েছেন। আমাদের দলীয় কোন্দল ছিল। সে বিষয়ে আমি কিছু বলব না। তবে সব মিলিয়ে সাধারণ মানুষের ভরসা আর ভালোবাসা ও বিশ্বাস আমাকে জয়ী করেছে।’

দলের মধ্যে ষড়যন্ত্রের যে অভিযোগ আইভী করেছেন তা অনেকটা সুষ্পষ্ট। নির্বাচনের আগে আইভীর বিপরীতে অবস্থান নিতে দেখা গেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগকে। বিষয়টি কেন্দ্রের দৃষ্টিতে আসে। তখনি নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।

আবার আইভীর পক্ষেও দলের অবস্থানও সুস্পষ্ট। নির্বাচনের সময় দেখা যায়, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা আইভীর পক্ষে কাজ করেছেন। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের নেতৃত্বে আব্দুর রহমান, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, মির্জা আজম, এস এম কামাল আইভীর পক্ষে কাজ করেন।

পাশাপাশি স্থানীয় সংসদ সদস্য শামীম ওসমানও সমর্থন দিয়েছেন। যদিও আইভী ও শামীম ওসমানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল সাপে-নেউলে। সম্পর্কের টানা পোড়ন থাকলেও সিটি নির্বাচনকে সামনে রেখে তা চোখে পরেনি। কেননা সংসদ সদস্য হওয়ায় সরাসরি নির্বাচনি প্রচারণায় অংশ নিতে পারেননি তিনি। তবে আইভির কাছে যেতে দেখা গেছে তাকে। আবার ইউনিয়ন পরিষদের ভোটার থাকলেও ঠিকানা পরিবর্তন করে সিটি করপোরেশন এলাকার ভোটার হয় শামীম ওসমান। নির্বাচনের দিনে তাকে ভোট দিতে দেখা গেছে।

গত ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের এ নির্বাচনে আইভী ১ লাখ ৫৯ হাজার ৯৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী, স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক বিএনপি নেতা তৈমূর আলম খন্দকারের চেয়ে তিনি ৬৬ হাজারেরও বেশি ভোট পান। তৈমূর পান ৯২ হাজার ৫৬২ ভোট।

(ঢাকাটাইমস/২২জানুয়ারি/কারই/ইএস)