‘জুট স্পিনার্সের উৎপাদন মিরাকল ছাড়া সম্ভব নয়’

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২২ জানুয়ারি ২০২২, ১৯:৩৮

দেশের পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত অস্তিত্ব সংকটের মুখে থাকা জুট স্পিনার্স লিমিটেড সম্পর্কে কোম্পানিটির নিরীক্ষিক নজিরবিহীন মন্তব্য দিয়েছে।

নিরীক্ষিক জানিয়েছে, কোম্পানিটির উৎপাদন মিরাকল কিছু ছাড়া শুরুর কোনো সম্ভাবনা নেই। তারপরও কোম্পানির শেয়ারদর ১০০ টাকার উপরে রয়েছে। যাকে অস্বাভাবিক বলে জানিয়েছে নিরীক্ষক। কোনো কোম্পানির শেয়ারদর নিয়ে নিরীক্ষক এর আগে এমন মন্তব্য করেনি। এটি শেয়ারবাজারে নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত।

কোম্পানিটির উৎপাদন ২০১৬-১৭ অর্থবছর থেকে বন্ধ রয়েছ। কোম্পানিটির সম্পদ ও রিজার্ভ এখন ঋণাত্মক।

নিরীক্ষক জানিয়েছে, ২০২০-২১ অর্থবছরের শেষ দিনে জুট স্পিনার্সের লেনদেন হয়েছে ১২২ টাকা ৬০ পয়সায়। যা কোম্পানির অবস্থা বিবেচনায় অস্বাভাবিক। কোম্পানিটির শেয়ারদর অস্বাভাবিক হওয়ার মতো কোন মূল্য সংবেদনশীল তথ্যও নেই।

জানানো হয়েছে, কোম্পানি কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ধরে অগ্রিম হিসাবে ১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা ও গ্রাহকের কাছে পাওনা হিসাবে ৩ লাখ টাকা দেখিয়েছে আসছে। কিন্তু কোন ধরনের সমন্বয় করছে না। ওই হিসাবের সত্যতার বা আদায়ের সম্ভাব্যতার বিপরীতে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ নিরীক্ষককে কোন প্রমাণাদিও দিচ্ছে না। যেখানে লোকসান নিশ্চিত হলেও কোনো ধরনের সঞ্চিতি গঠন করা হচ্ছে না।

অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরে পণ্য ক্রয়বাবদ ৭ কোটি ২ লাখ টাকার ও বিক্রির আগেই অগ্রিম হিসাবে ৭৫ হাজার টাকার দায় রয়েছে। কিন্তু এই হিসাবও সমন্বয় করা হয় না দীর্ঘদিন ধরে। এক্ষেত্রেও সত্যতা নিয়ে কোনো প্রমাণাদি নিরীক্ষককে দেয়নি জুট স্পিনার্স কর্তৃপক্ষ।

জুট স্পিনার্স কর্তৃপক্ষ ৫ কোটি ৯৬ লাখ টাকার সুদজনিত ব্যয়ের মধ্যে ৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকার সঞ্চিতি বছরের পর বছর ধরে দেখিয়েছে আসছে। তবে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ওই সুদের বিপরীতে দায়েরকৃত জনতা ব্যাংকের মামলার আপডেট তথ্য নিরীক্ষককে সরবরাহ করেনি।

এই কোম্পানিটিতে শ্রম আইন অনুযায়ী গঠিত ১ কোটি ৩৭ লাখ টাকার ফান্ড রয়েছে। কিন্তু কোম্পানি কর্তৃপক্ষ তা বিতরণ করেনি। যা শ্রম আইনের ব্যত্যয়।

(ঢাকাটাইমস/২২জানুয়ারি/এসকেএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

অর্থনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অর্থনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :