ফাইল না আনায় চেয়ার দিয়ে দুই কর্মকর্তার হাত ভাঙলেন মন্ত্রী!

প্রকাশ | ২২ জানুয়ারি ২০২২, ২২:০৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

নির্দিষ্ট কয়েকটি ফাইল না আনার ‘অপরাধে’ দুই সরকারি কর্মকর্তাকে দলীয় কার্যালয়ের ভেতরে চেয়ার দিয়ে মেরে হাত ভেঙেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বীরেশ্বর টুডু। এ ঘটনায় ওড়িশার বারিপদা টাউন থানায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৩, ৩২৫, ২৯৪ এবং ৫০৬ ধারায় মামলা মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ভুক্তভোগীরা।

শুক্রবার বারিপদায় দলীয় কার্যালয়ে একটি পর্যালোচনা বৈঠকে এ ঘটনা ঘটে।

বীরেশ্বর জলশক্তি এবং উপজাতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী। ওড়িশার ময়ূরভঞ্জে সাংসদ। গত বছরের জুলাইয়ে তাকে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়।

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, শুক্রবার বারিপদায় দলীয় কার্যালয়ে একটি পর্যালোচনা বৈঠকের আয়োজন করেন মন্ত্রী। ডিস্ট্রিক্ট প্ল্যানিং অ্যান্ড মনিটরিং ইউনিট-এর যুগ্ম অধিকর্তা অশ্বিনী কুমার মল্লিক এবং সহঅধিকর্তা দেবাশিস মহাপাত্রকে ওই কার্যালয়ে ডেকে পাঠান তিনি। বৈঠকের সময় প্রয়োজনীয় ফাইল না পেয়ে অগ্নিশর্মা হয়ে ওঠেন বীরেশ্বর। দুই কর্মকর্তার কাছে জানতে চান ফাইল কেন আনা হয়নি। এর পরই কার্যালয়ের দরজা বন্ধ করে দুই আধিকারিককে মারধর করেন এমনকি চেয়ার দিয়েও আঘাত করা হয়।

এই ঘটনায় সহঅধিকর্তার হাত ভেঙে যায় এবং যুগ্ম অধিকর্তার বিভিন্ন জায়গায় আঘাত লাগে। দু’জনকেই বারিপদার পিআরএম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। দুই আধিকারিকের অভিযোগের ভিত্তিতে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বারিপদা টাউন থানা ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৩, ৩২৫, ২৯৪ এবং ৫০৬ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।

সর্বভারতীয় এর সংবাদমাধ্যমকে দেবাশিস বলেন, “মন্ত্রী বলেন আমরা প্রোটোকল ভেঙেছি। আমরা তাকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলাম যে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য নির্বাচনী আচরণবিধি চালু হয়েছে তাই আনা সম্ভব নয়। কিন্তু তিনি তাতে রেগে যান এবং আমাদের মারধর করতে শুরু করেন।”

যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মন্ত্রী। পাল্টা তিনি বলেন, “ওরা দু’জনে আমার কাছে এসেছিলেন। আমরা আধঘণ্টা আলোচনা করি। কেন্দ্রীয় সরকারের পাঠানো ৭ কোটি টাকা কী ভাবে খরচ করা হয়েছে তার ফাইল আনতে বলেছিলাম ওদের। কিন্তু ওরা এখন আমার বিরুদ্ধেই ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছে। যদি আমি ওদের মারতাম, তা হলে আমার কার্যালয় থেকে বাড়ি ফেরা সম্ভব হত না।

(ঢাকাটাইমস/২২জানুয়ারি/ইএস)