র‌্যাগ ডে’তে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ ঢাবির পালি বিভাগের

ঢাবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২২ জানুয়ারি ২০২২, ২২:৪১ | প্রকাশিত : ২২ জানুয়ারি ২০২২, ২২:৩৫

শিক্ষা সমাপনী দিনে (র‌্যাগ ডে) বিভাগের দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করে এক অনন্য নজির গড়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা।

শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগের ৬১৮ নং কক্ষে এই বৃত্তি প্রদান কর্মসূচি সম্পন্ন হয়।

এতে বিভাগের বর্তমান ২য়, ৩য় ও ৪র্থ বর্ষের মোট ২২ জন দরিদ্র ও অসচ্ছল শিক্ষার্থীকে এককালীন জনপ্রতি তিন হাজার টাকা করে বৃত্তি প্রদান করার পাশাপাশি শীতার্তদের মাঝেও শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।

অনন্য এই উদ্যোগের সমন্বয়ক বিভাগের ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী কামরুজ্জামান বাবু। তিনি বলেন, প্রতিবছর শিক্ষা সমাপনী অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে র‌্যাগ ডে, গালা ডে, গালা নাইট, ব্যাচ ট্যুরসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমরা অনেক টাকা খরচ করে থাকি। কিন্তু, আমরা এই চিরাচরিত প্রথা থেকে বেরিয়ে এসেছি। এ ক্ষেত্রে আমাদের শিক্ষক ড. আরসাম কুদরত এ খোদা আমাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেছেন। বিভাগের শিক্ষকমণ্ডলীর পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা সহযোগিতা করেছেন, যার জন্য এরকম একটি কাজ সম্পন্ন করতে সচেষ্ট হয়েছি।

তিনি বলেন, আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষে শিক্ষা সমাপনী অনুষ্ঠানের অর্থ দিয়ে বিভাগের বর্তমান ২য়, ৩য় ও ৪র্থ বর্ষের মোট ২২ জন দরিদ্র ও অসচ্ছল শিক্ষার্থীকে এককালীন জনপ্রতি তিন হাজার টাকা করে বৃত্তি প্রদান করলাম। ইতোমধ্যে অর্থের একাংশ দিয়ে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্রও বিতরণ করেছি।

অনুষ্ঠানে ঢাবি কলা অনুষদের ডিন ড. আবদুল বাছির, পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও একুশে পদকপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়া এবং বর্তমান চেয়ারম্যান ড. সুমন কান্তি বড়ুয়াসহ বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে সুকোমল বড়ুয়া বলেন, এখানে দুটি বিষয় সৃষ্টি হয়েছে। প্রথমত, র‌্যাগ ডে না করে মানবিক ও গঠনমূলক কাজ করার মতো শিক্ষার্থীদের একটি নতুন চেতনা ও মৌলিক চিন্তা সৃষ্টি হয়েছে। দ্বিতীয়ত, তোমাদের কাজে দায়িত্ববোধের উদাহরণ তৈরি হয়েছে, যা নতুনদের জন্য শিক্ষণীয় হবে।

এসময় অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির বলেন, পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেশ ও জাতিকে নতুন বার্তা দিয়েছে। অনুষ্ঠানে আসতে পেরে আমি অভিভূত দুটি কারণে। প্রথমত, এই বিভাগের শিক্ষকরা তাদের শিক্ষার্থীদের মাঝে মানবিকতার আলো পৌঁছে দিতে পেরেছে। তাদের ধন্যবাদ। দ্বিতীয়ত, এই বিভাগের শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের দেওয়া মূল্যবোধ ধারণ করতে পেরেছে।

(ঢাকাটাইমস/২২ জানুয়ারি/আরএল/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিক্ষা এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :