অবশেষে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় শাবি শিক্ষার্থীরা

প্রকাশ | ২৩ জানুয়ারি ২০২২, ০৮:৫৩ | আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২২, ০৯:০০

অনলাইন ডেস্ক
ফাইল ছবি।

উপাচার্যের পদত্যাগ ইস্যুতে অবশেষে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সঙ্গে অনলাইনে আলোচনায় বসলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। শনিবার দিবাগত রাত ১টা ২০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইসিটি ভবনের গ্যালারি-২ এর ১২৯ নম্বর কক্ষে অনলাইনের মাধ্যমে শুরু হয় এ আলোচনা। এসময় শিক্ষার্থীরা শিক্ষামন্ত্রীকে ঘটনার বর্ণনা দেন।

এর আগে মধ্যরাতে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির পক্ষ থেকে আলোচনার বার্তা নিয়ে আসেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। শনিবার দিবাগত মধ্যরাত ১২ টা ৪০ মিনিটে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন তিনি।  এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিধান কুমার শাহা।

আলোচনায় অনশনকারীদের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন শাহরিয়ার আবেদিন, অপূর্ব, মীর রানা, সাব্বির, নাফিসা আঞ্জুম ইমু, রোমিয়, উমর ফারুক, ইয়াসির সরকার, সাদিয়া আফরিন, মোহাইমিনুল বাশার রাজ। 

এর আগে গত শুক্রবার শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আন্দোলনকারীদের মোবাইল ফোনে কথা বলিয়ে দেন শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। ওই সময় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দেন এবং প্রতিনিধি দল ঢাকায় আসার আহবান জানান।

প্রথমে শিক্ষার্থীরা ঢাকায় আসতে সম্মত হলেও পরে অনশনকারী সহপাঠীদের কথা বিবেচনায় রেখে ঢাকায় না গিয়ে অনলাইনে আলোচনার প্রস্তাব দেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকায় গিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। এ বৈঠকের পর সন্ধ্যায় অনলাইনে আলোচনার কোনো সিদ্ধান্ত না আসলেও রাত ১২টায় আসে অনলাইনে আলোচনার সিদ্ধান্ত। এর প্রেক্ষিতেই হয় আলোচনা।

গত ১৩ জানুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিরাজুন্নেছা ছাত্রী হলের প্রভোস্টের পদত্যাগের দাবিতে শুরু হয় ছাত্রী আন্দোলন। পরে এসব দাবি আদায়ের আন্দোলনের এক পর্যায়ে ১৬ জানুয়ারি দুপুরে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদকে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা। তাকে উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ওইদিন সন্ধ্যায় পুলিশের লাঠিচার্জ, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপের ঘটনায় আহত হন অর্ধশত শিক্ষার্থী। এর পর থেকেই ছড়ায় উত্তাপ, শুরু হয় উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি। আন্দোলন গত ১৯ জানুয়ারি অনশনে গড়ায়। এতে আমরণ অনশনে বসেন ২৪ শিক্ষার্থী।

ঢাকাটাইমস/২৩জানুয়ারি/ইএস