রূপান্তরিত নারীকে নির্যাতন, নারী আরজেসহ অভিযুক্তরা গ্রেপ্তার

প্রকাশ | ২৩ জানুয়ারি ২০২২, ১২:৪২ | আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২২, ১২:৫৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এক বাসায় ট্রান্সজেন্ডার (রূপান্তরিত) নারীকে নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

রবিবার সকালে মহাখালী ও ফার্মগেট এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তারা হলেন- ঘটনার মূলহোতা ইশতিয়াক আমিন ফুয়াদ ওরফে সানি, রিশু ও সাইমা নিরা।

গ্রেপ্তারদের মধ্যে নিরা নিজেকে আরজে ও পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয় দিতেন। আর ফুয়াদ নিজেকে বিমান বাহিনীর ক্যাপ্টেন পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করতেন।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন ঢাকা টাইমসকে তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি বলেন, চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত ট্রান্সজেন্ডার নারী বিউটি ব্লগারকে যৌন নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টার ঘটনা মামলায় মূলহোতা ইশতিয়াক আমিন ফুয়াদ ও সহযোগী তথাকথিত নারী আরজেসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুপুরে এ ব্যাপারে ব্রিফিং করে বিস্তারিত জানানো হবে।

এর আগে শুক্রবার ভুক্তভোগী ছায়েদ বিন রাব্বি শান্ত রাজধানীর ভাটারা থানায় একটি মামলা করেন। 

মামলার এজাহারে ভুক্তভোগী জানান, তিনি ওই (রিশু) যুবকের কথা বিশ্বাস করে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার সি ব্লকে ৫ নম্বর সড়কের এক বাসার দ্বিতীয় তলার ফ্ল্যাটে যান। সেখানে যাওয়ার পর তিনি এক নারী ও আরেকজন পুরুষকে দেখতে পান।

ওই তিনজন ভুক্তভোগীকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করেন। এতে বাধা দিলে তিনজন তাকে মারধর শুরু করেন এবং বলতে থাকেন এই ভিডিও তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেবেন। এ সময় তিনজন নিজেদের আইনের লোক পরিচয় দেন। তাদের কাছে অস্ত্র ও ওয়াকিটকি ছিল বলে জানান তিনি।

মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়, ভুক্তভোগীর কাছে থাকা মোবাইল ফোন, সোনার চেইন, নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়া হয়। এরপর তার কাছে এক লাখ টাকা দাবি করে বলা হয়, না দিলে মেরে পূর্বাচলে ফেলে দেয়া হবে। পরবর্তী সময়ে প্রাণ ভিক্ষা চাইলে তাকে থানায় নিয়ে যাবে বলে ঢাকার বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরিয়ে রাত ৮টার দিকে রামপুরা এলাকায় একটি হাসপাতালের সামনে ফেলে যায়।

ভুক্তভোগী ছায়েদ বিন রাব্বি শান্ত শনিবার ঢাকাটাইমসকে বলেছিলেন, ঘটনার সময় উপস্থিত তিনজনের দুইজন একে অপরজনকে স্যার স্যার বলে সম্ভোধন করছিলেন। আর ওয়াকিটকি হাতে একজন আরেকজনের সঙ্গে আমাকে পাচার করে দেওয়ার জন্য আলোচনা করছিল। পরে জানলাম ইশতিয়াক আমিন ফুয়াদ নর্থ সাউথে পড়াশোনা করেন, আর মেয়েটি (সাইমা নিরা) ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। অথচ ফুয়াদ নিজেকে আর্মি ক্যাপ্টেন বলে পরিচয় দেন, আর মেয়েটা (সাইমা নিরা) নিজেকে পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয় দেন। এদের পরিচিত লোকদের থেকে জানতে পেরেছি, বসুন্ধরাতে তাদের কয়েকটা বাসা ভাড়া নেওয়া আছে। সব জায়গাতে তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে থাকেন।

(ঢাকাটাইমস/২৩জানুয়ারি/এসএস/ইএস)