গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পড়েছে আছে এমআরআই মেশিন

শেখ মোস্তফা জামান, গোপালগঞ্জ
 | প্রকাশিত : ২৩ জানুয়ারি ২০২২, ১৩:১৪

গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ১২ কোটি টাকার এমআরআই মেশিন কেনার পর থেকেই নষ্ট। সিটিস্ক্যান আর এক্স-রে মেশিন ফিল্ম-এর অভাবে গত তিন মাস ধরে নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে। এতে হাসপাতালের রোগীদের বাড়তি টাকা খরচ করে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষা করাতে হচ্ছে। রোগীরা যেমন ভোগান্তিতে পড়ছে, তেমনি আর্থিক ক্ষতিরও শিকার হচ্ছেন। হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা জানান, সিটিস্ক্যান ও এক্স-রে মেশিনের ফিল্ম না থাকায় চালানোর অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

গোপালগঞ্জ জেলাসহ পাশের জেলার হাজারো রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে। প্রতিনিয়ত এখানে কয়েকশ’ রোগীকে এক্স-রে, সিটিস্ক্যান, ইকো, এমআরআইসহ বিভিন্ন পরীক্ষা কারানোর প্রয়োজন হয়। তাই ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে এমআরআই মেশিন কেনা হয় ২০১২ সালে। তবে কেনার পর থেকে মেশিনটি দশ বছরেও দেখেনি আলোর মুখ।

এদিকে সিটি স্ক্যান আর এক্স-রে মেশিনের ফিল্ম নেই গত তিন মাস ধরে। এতে রোগী ভোগান্তি যেন বাড়িয়ে দিয়েছে চরমে। রোগীদের বাধ্য হয়ে ঢাকা-খুলনা গিয়ে সিটিস্ক্যান করাতে হচ্ছে। আর এ দুর্ভোগকে সুযোগ হিসেবে কাজে লাগাচ্ছেন হাসপাতালের এক শ্রেণীর অসাধু চিকিৎসক ও কর্মচারী।

এছাড়া এই হাসপাতালের ইকো-কার্ডিওগ্রাফি, ইটিটি মেশিন, আলট্রাসনোগ্রামসহ পরীক্ষা-নিরীক্ষার অন্যান্য বেশ কয়েকটি মেশিন নষ্ট হয়ে পড়ে আছে দীর্ঘদিন যাবত। মাঝে মাঝে টেন্ডার আহ্বান করে মেরামত করলেও তা অল্প দিনের মধ্যেই নষ্ট হয়ে যায়। রোগীরা বঞ্চিত হচ্ছেন কাঙ্খিত সেবা থেকে।

চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের অভিযোগ, অসাধু চিকিৎসক-কর্মচারীরা বেসরকারি ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিকে পাঠিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছেন মোটা অঙ্কের টাকা। এতে বিপাকে পড়ছেন গরিব অসহায় ও দরিদ্র মানুষেরা সিটিস্ক্যান, এমআরআই, ইকো ও এক্স-রে এ চারটি মেশিনের আনুমানিক মূল্য শত কোটি টাকা। সিটিস্ক্যান গত তিন মাস ধরে নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। এমআরআই ও ইকো মেশিন কেনার পর থেকেই পড়ে আছে অচল অবস্থায়। অথচ হাসপাতালে আক্রান্ত রোগীদের রোগ নির্ণয়ে এসব মেশিন অপরিহার্য।

গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. অসিত কুমার মল্লিক বলেন, সিটিস্ক্যান আর এক্স-রে মেশিনের ফিল্ম না থাকায় চালু করতে পারছি না। ফিল্ম কেনার জন্য ওয়ার্কওডার দেয়া হয়েছে, এলেই মেশিন চালু করা সম্ভব হবে। এমআরআই মেশিন কেনার পর থেকেই নষ্ট এটা আর চালু করা সম্ভব নয়। টেন্ডার আহবান করে নতুন করে ক্রয় করতে হবে।

(ঢাকাটাইমস/২৩জানুয়ারি/এলএ/এসএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :