বর্তমান ইসিকে আইনের আওতায় আনার দাবি বিএনপির হারুনের

প্রকাশ | ২৩ জানুয়ারি ২০২২, ১৫:১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

নির্বাচন কমিশন গঠনে সংসদে উত্থাপিত আইনে নতুন কিছু নেই অভিযোগ করে এই আইন প্রত্যাহার করতে আইনমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ। উল্টো তিনি বলেছেন,  আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে তাদের (বর্তমান নির্বাচন কমিশন) মেয়াদ শেষ হবে। তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার এবং দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। সেগুলোর ব্যাপারে তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা খুবই জরুরি।'

রবিবার একাদশ জাতীয় সংসদের ষোড়শ অধিবেশনে 'প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২’ নামে খসড়া আইনটি উত্থাপনের বিরোধিতা করে তিনি এ দাবি জানান।

এর আগে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সংসদে বিলটি উত্থাপনের জন্য স্পিকার ড. শিরীন শারমিনের অনুমতি চান।

পরে বক্তব্য দিতে এসে বিএনপির এই সংসদ সদস্য আগের সার্চ কমিটির ‘বৈধতা’ দেওয়ার জন্য আইনটি আনা হয়েছে বলেও দাবি করেন।

আগের সার্চ কমিটির ‘বৈধতা’ দেওয়ার বিষয়ে আইনমন্ত্রী সংসদে বলেন, দুবার যে সার্চ কমিটি করা হয়েছিল, তা ঐক্যমতের ভিত্তিতে। সেটাকে আইনসিদ্ধ করা হচ্ছে।

বিলটি সংসদে ওঠানোর বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ বলেন, যে বিলটি আইনমন্ত্রী এনেছেন, তাতে জনগণের প্রত্যাশা, রাজনৈতিক দলগুলোর এবং সুশীল সমাজের যে প্রত্যাশা, তার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। আমরা দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করার জন্য একটি আইন প্রণয়নের আহ্বান জানিয়ে আসছিলাম। আজকে আইনমন্ত্রী যে বিলটি উত্থাপন করেছেন, ইতিমধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজ গণমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আসছেন। বিএনপির পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলা হয়েছে, ‘যাহা লাউ তাহা-ই কদু’।

তিনি বলেন, অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে বলতে চাই, সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে বিগত যে দুটি নির্বাচন কমিশন, রকিব ও হুদা কমিশন গঠনের মধ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশনকে এত প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৬ সালে বলেছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও নির্বাচন কমিশন সংস্কার ছাড়া নির্বাচনে যাবেন না। ১৯৯৫-৯৬ সালে দীর্ঘ ১৭২ দিন হরতালের মধ্যদিয়ে আজকের প্রধানমন্ত্রী সেই সময় দাবি করেছিলেন তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা ছাড়া কোনো নির্বাচনে যাবেন না।

হারুনুর রশিদ বলেন, আজকে যে আইনটি তোলা হয়েছে তাতে ধরে নিতে পারি ইতোপূর্বে সার্চ কমিটির মাধ্যমে গঠিত দুটি কমিশনকে বৈধতা দেওয়ার জন্য আনা হয়েছে। এখানে নতুনত্ব কিছু নেই। ইতোপূর্বে যে কমিশন গঠিত হয়েছে তার অনুরূপ বিল এখানে তোলা হয়েছে।

সার্চ কমিটির সদস্যদের তথ্য তুলে ধরে বিএনপির এই সংসদ সদস্য বলেন, এই আইনটি প্রশ্নবিদ্ধ। এই আইন দিয়ে বর্তমান সংকটের নিরসন হবে না। সংকট থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে পারব না। আমি দাবি করব- আইনটি প্রত্যাহার করুন। আইনমন্ত্রী কিছুদিন আগে বলেছিলেন এরকম একটি আইন প্রণয়নের জন্য রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। এই কথা বলার পর তিনি কী করে এই আইনটি আনেন।

(ঢাকাটাইমস/২৩জানুয়ারি/বিইউ)