শাবিপ্রবি পরিস্থিতি: সারাদেশের শিক্ষার্থীরাও ঐক্যবদ্ধ হবো

আমিরুল ইসলাম
 | প্রকাশিত : ২৩ জানুয়ারি ২০২২, ১৮:২৮

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ঘটনায় দেখেছি প্রথমে শিক্ষার্থীদের একটা যৌক্তিক আন্দোলন ছিল। এখন এই আন্দোলনটা যে পর্যায়ে গেছে আমি সাবেক শিক্ষার্থী হিসেবে অবশ্যই শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির পদত্যাগ দাবি করছি। ভিসি সসম্মানে যেন চলে যান।

আজকে আপনারা হয়তো খেয়াল করবেন, এখন পর্যন্ত ১৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি সাবেক শিক্ষার্থী হিসেবে আমিও ভিসিবিরোধী আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। আপনারা দেখছেন ইতোমধ্যেই আজকে ভিসির পদত্যাগ দাবিতে কফিন মিছিলও হয়েছে। সাবেক শিক্ষার্থী হিসেবে আমি ভিসির পদত্যাগের এই দাবির সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একমত।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির পদত্যাগ দাবির ঘটনাটি কোনো চক্রান্ত নয়। তবে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় প্রশাসনের চক্রান্ত থাকতে পারে। আমাদের একজন গণিতের অধ্যাপক স্যার আছেন, তিনি তো স্বচক্ষে বিষয়গুলো দেখেছেন। তিনি সেখানে আন্দোলনের সময় ছিলেন। আমি দেখেছি স্যার যে কথাগুলো বলেছেন, স্যার যেটা দেখেছেন ছাত্র-ছাত্রী যখন যৌক্তিক আন্দোলন করছিল তখন পুলিশ শিক্ষার্থীদের দিকে ঢিল ছোঁড়ার কথা বলা হচ্ছে, উস্কানিমূলক কোনো কথা বলা ছাড়াই সরাসরি পুলিশ অ্যাকশনে চলে গেছে।

এই অ্যাকশনে চলে যাওয়াতে আমাদের অনেক ছাত্রছাত্রী হতাহত হয়েছেন, সেটা আপনারা দেখেছেন। এখানে কিন্তু ছাত্রছাত্রীরা নেতিবাচক কোনো কর্মকাণ্ডে যায়নি। তারপরেও যেটা দেখা গেছে ছাত্র-ছাত্রীরা কিন্তু পুলিশের হামলার প্রতিবাদে তাদেরকে ফুল দিয়ে বরণ করে নিয়েছে। এটা আমার দৃষ্টিতে একটা পজেটিভ দিক। এরকম আন্দোলন আমি সচরাচর দেখি না। সাধারণত পুলিশের অ্যাকশন হয়, তারপরে প্রতিপক্ষ গ্রুপ সেটা অন্যভাবে নিয়ে তারাও অ্যাকশনে চলে যায়। কিন্তু এখানে ছাত্রছাত্রীরা পজিটিভলি এখনো পর্যন্ত ভূমিকা পালন করছে। তারা এই যে আমরণ অনশন, কফিন মিছিল, মশাল মিছিল করছে। আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন জায়গায় মানববন্ধন করছি। আমরা কিন্তু শান্তিপূর্ণভাবে যে আন্দোলনগুলো করার দরকার সেগুলোই করছি।

শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশের অ্যাকশন কিন্তু ভিসি স্যারের পরামর্শ ছাড়া বা উস্কানি ছাড়া প্রশাসনের ইচ্ছায় হয়নি। আমি সাবেক শিক্ষার্থী হিসেবে ছোট ভাই-বোনদের প্রতি আমার নৈতিক সমর্থন আছে এবং থাকবে।

আরেকটা বিষয় যেটা জানতে পারলাম যে ৩৪টা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি মহোদয় সম্ভবত ভিসি স্যারের পক্ষে একটা বিবৃতি দিয়েছেন। এক্ষেত্রে ৩৪ জন ঐক্যবদ্ধ হয় ভিসি স্যারের পক্ষ নিলেন। তাহলে আমরা সারা বাংলাদেশের শিক্ষার্থী হয়তো ৪০ লাখের মতো হবো, আমরাও ঐক্যবদ্ধ হবো। যেহেতু আমরা সব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটি নৈতিক সমর্থন পাচ্ছি।

লেখক: আমিরুল ইসলাম

সাবেক শিক্ষার্থী, শাবিপ্রবি

বিভাগীয় প্রধান, সমাজকর্ম বিভাগ, কালিহাতী শাজাহান সিরাজ কলেজ, টাংগাইল।

সংবাদটি শেয়ার করুন

মতামত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :