২০২১ সালে ৩৮ গৃহকর্মী নির্যাতনের শিকার, নিহত ১২

প্রকাশ | ২৩ জানুয়ারি ২০২২, ১৯:২১

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

দেশে ২০২১ সালে ৩৮ জন গৃহকর্মী নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১২ জন নিহত হয়েছেন। এই ১২ জনের মধ্যে চারজন খুন হয়েছেন। তবে এই হত্যা, নির্যাতন ও নিহতের সংখ্যা আগের বছরের চেয়ে কম।

রবিবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ-বিলস্ এর এক জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে। বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে তৈরি এই জরিপটি প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।

বিলস এর তথ্য কর্মকর্তা মামুন অর রশিদ স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০২১ সালে ৩৮ জন গৃহকর্মী নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এরমধ্যে ১২ জন নিহত, ২৪ জন আহত এবং দুজন আত্মহত্যা করেন। নিহতদের মধ্যে চারজন হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন এবং আটজনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।

আহতদের মধ্যে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ১৫ জন, ছুরিকাঘাতের শিকার পাঁচজন, ধর্ষণের শিকার হয়েছেন তিনজন, যৌন নিপীড়নের শিকার একজন এবং ধর্ষণপরবর্তী আত্মহত্যা করেন একজন। এছাড়া কর্মক্ষেত্রের বাইরে তিনজন গৃহশ্রমিক নিহত হন।

২০২০ সালে হত্যা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন ৪৪ জন গৃহশ্রমিক। যার মধ্যে ২০ জন নিহত, ২৩ জন আহত এবং একজন নিখোঁজ ছিলেন।

ঢাকাসহ সারাদেশে যারা গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করেন তাদের ৯৫ ভাগেরও বেশি নারী। বিলস্ এর জরিপে দেখা গেছে, যারা হত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণের শিকার হয়েছেন তাদের বেশির ভাগের বয়স ১০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে।

জরিপের বিষয়ে সংগঠনটি বলছে, এই হিসাব দেশের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের ওপর নির্ভর করে করা। যদিও বাস্তব পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। কারণ অনেক নির্যাতনের ঘটনায় অর্থ ও চাপের মুখে সমঝোতা করা হয়। গৃহকর্মী বা তাদের পরিবারের সদস্য অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল হওয়ার কারণে মামলা মোকাদ্দমায় যেতে চান না বা যেতে সাহন পান না। অনেক সময় প্রভাবশীলরা নির্যাতনের ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে ফেলেন।

গৃহশ্রমিক নির্যাতন প্রতিরোধে বিলস্ গৃহশ্রমিক কল্যাণ ও সুরক্ষা নীতিমালা ২০১৫ বাস্তবায়নে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। গৃহকর্মী নির্যাতনের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান এবং গৃহশ্রমিকদের সুরক্ষায় আইন প্রণয়ন এবং সচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করেছে সংগঠনটি।

(ঢাকাটাইমস/২৩জানুয়ারি/কারই/জেবি)