পুঁজিবাজারের উন্নয়নে বিনিয়োগ শিক্ষার বিকল্প নেই

ড. মাহমুদা আক্তার
| আপডেট : ২৫ জানুয়ারি ২০২২, ০৮:৩৮ | প্রকাশিত : ২৪ জানুয়ারি ২০২২, ১৫:৩০

বিনিয়োগকারীদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করছে পুঁজিবাজার বিনিয়োগ শিক্ষা-সম্পর্কিত জাতীয় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেট (বিআইসিএম)। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রণয়ন করা হয়েছে বেশ কিছু সাধারণ ও বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ মডিউল। এ জন্য পুঁজিবাজারবিষয়ক উচ্চতর শিক্ষাও সফলতার সঙ্গে প্রদান করা হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির কর্মপরিধি, পাঠ্যক্রম ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেছেন বিআইসিএমের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. মাহমুদা আক্তার। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন হাবিবুল্লাহ ফাহাদ

বিআইসিএমের কার্যক্রম সম্পর্কে যদি আমাদের কিছু ধারণা দিতেন।

আমাদের দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের দীর্ঘমেয়াদি নিয়ামকসমূহের অন্যতম হলো সফল এবং সুদৃঢ় একটি পুঁজিবাজার। পুঁজিবাজারের মূল ভিত্তি বিনিয়োগকারীদের জ্ঞানগত দক্ষতা ও বিনিয়োগ সক্ষমতা। বিআইসিএম সেই দক্ষতা ও সক্ষমতা বিকাশে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।

এই প্রতিষ্ঠানে কী ধরনের প্রশিক্ষণ ও উচ্চতর শিক্ষা দেওয়া হয়?

আমাদের প্রশিক্ষণ ও উচ্চতর শিক্ষা কার্যক্রমের মধ্যে বিনামূল্যে পরিচালিত ইনভেস্টর এডুকেশন প্রোগ্রাম, বিভিন্ন সার্টিফিকেট প্রোগ্রাম, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন ক্যাপিটাল মার্কেট প্রোগ্রাম, মাস্টার্স অব অ্যাপলায়েড ফিন্যান্স অ্যান্ড ক্যাপিটাল মার্কেট ইত্যাদি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এছাড়া বিভিন্ন বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ পরিচালনার মাধ্যমে বিআইসিএম বিনিয়োগকারীদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়ানোর কাজে সচেষ্ট রয়েছে, যা পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের সার্বিক পারদর্শিতা অর্জনে ভূমিকা রাখছে। এর বাইরে বিভিন্ন কর্মশালা, অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণ এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের প্রকাশনার মাধ্যমে ইনস্টিটিউটের কর্মপরিধি আরও বাড়ছে এবং সমৃদ্ধ হচ্ছে।

কোন প্রেক্ষাপটে বিআইসিএম প্রতিষ্ঠা হয়?

২০০৮ সালের ২৪ জুলাই বিআইসিএম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ২০১০ সালের ৯ ডিসেম্বর সরকারের তৎকালীন মাননীয় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ইনস্টিটিউটের একাডেমিক কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। বিগত সময়গুলোতে দেশের পুঁজিবাজার বড় ধরনের ধসের সম্মুখীন হলে তদন্তে দেখা যায় যে, অন্যান্য বিদ্যমান কারণের পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের জ্ঞানগত দক্ষতা এবং বিনিয়োগ সক্ষমতা ঘাটতি ধসগুলোর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবকে ত্বরান্বিত করেছে। সে সময় সরকার অনুধাবন করল, বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষা দরকার। সেই লক্ষ্য থেকে মূলত বিআইসিএমের যাত্রা শুরু হয়।

বিনিয়োগবিষয়ক শিক্ষা কীভাবে বিনিয়োগকারীদের আর্থিক ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে ভূমিকা পালন করছে?

বিনিয়োগ শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। বিনিয়োগ সম্পর্কে আপনি যে ধরনের সিদ্ধান্তই গ্রহণ করেন না কেন, সে বিষয়ে আপনার সম্যক ধারণা থাকা জরুরি। আমরা দেখতে পাচ্ছি, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে অনেকেই অগ্রহণযোগ্য ঝুঁকি গ্রহণ করছেন। অনেকে আবার শ্রুতিকথার ভিত্তিতে বিনিয়োগ করে প্রতারিত হচ্ছেন। কিন্তু মানুষ কেন ঠকছে? কারণ, তার বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ যৌক্তিক এবং শিক্ষাগত জ্ঞানের ব্যবধান রয়েছে। অর্থাৎ বিনিয়োগ বা ব্যবসায় সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য তার আরও প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। সরকার এই লক্ষ্যে বিভিন্ন শ্রেণির বিনিয়োগকারীর জন্য বিআইসিএম প্রতিষ্ঠা করেছে।

বিভিন্ন শ্রেণির বিনিয়োগকারী বলতে কাদের বোঝাচ্ছেন?

বিনিয়োগকারীরা বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষাগত যোগ্যতার অধিকারী। একেকজনের জ্ঞানের পরিধি একেক রকম। কারও কম, কারও বেশি। বিনিয়োগকারী যে কেউ হতে পারে। যার শিক্ষাগত যোগ্যতা কম, সে-ও বিনিয়োগকারী হতে পারে। তার তো পুঁজি আছে। তাই তাকেও কীভাবে শিক্ষিত করে গড়ে তোলা যায়, সেই ধরনের কর্মসূচিও এখানে রয়েছে। মানুষের অনুমাননির্ভর কথায় প্রভাবিত হয়ে তারা যে বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নেয়, সেটা অনাকাঙ্ক্ষিত। বিনিয়োগকারীরা যেন নিজেদের সিদ্ধান্ত নিজেরা নিতে পারেন এবং তাদের বিনিয়োগ সিদ্ধান্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি গ্রহণে পারদর্শিতা অর্জন করতে পারেন সেই জন্যই তাদের বিনিয়োগ শিক্ষা প্রয়োজন। তারা জেনে, শুনে, বুঝে এবং যৌক্তিক সিদ্ধান্তের ওপর বিনিয়োগ করবেন।

যেসব বিনিয়োগকারীর পুঁজিবাজার সম্পর্কে পুঁথিগত বিদ্যা কম, তাদের কী ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়?

তাদের জন্য আছে ফ্রি ইনভেস্টর এডুকেশন। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য সহজ ভাষায় বিনিয়োগের অ-আ-ক-খ বোঝানো হয়। বিভিন্ন রকম সার্টিফিকেট কোর্স চালু আছে। বাজারে অনেক রকম প্রোডাক্টস আছে, তাই স্টেকহোল্ডারও রয়েছেন অনেক। এক একটি স্টেকহোল্ডারের এক এক রকমের চাহিদা। প্রতিটা চাহিদাকে একীভূত করে যে জ্ঞান দরকার, সেটিই আমরা দিচ্ছি। তাত্ত্বিকের পাশাপাশি এ ক্ষেত্রে ব্যবহারিক শিক্ষা খুবই প্রয়োজন। যেখানে যতটুকু দরকার, সেই অনুযায়ী আমরা সার্টিফিকেট কোর্সগুলো পরিচালনা করছি।

উদাহরণ হিসেবে যদি বলেন...

যেমন ধরুন এখন ফিনটেক (টেকনোলজি ইন ফাইন্যান্স) কথাটা নিশ্চয়ই শুনেছেন। ফিনটেকের ওপর ফিন্যান্সিয়াল অ্যানালাইটিকস অ্যান্ড মডেলিং শেখানো হচ্ছে। এছাড়া ফিনটেক কনসেপ্ট অ্যাপ্লিকেশন অব ইকোসিস্টেম, ফিনটেক অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল ডেটা অ্যানালাইটিকস ইত্যাদি, যা প্রায়োগিক শিক্ষা হিসেবে কাজ করবে। বাজারে নতুন কোনো বিষয় বা ধারণা এলে সেটা নিয়ে আমরা কাজ করি। যেমন বন্ড মার্কেট এখন খুবই আলোচিত। বন্ড কি, কীভাবে এতে বিনিয়োগ করতে হয়, বিনিয়োগকারীদের জানতে হবে। যারা বন্ড ইস্যু করছে, তাদেরও এ সম্পর্কে দক্ষতা বৃদ্ধি প্রয়োজন। এই জানানোর কাজটিই আমরা করছি। দুই পক্ষের জন্যই আমরা দুটি মডেল ডেভেলপমেন্ট কোর্স চালু করেছি।

আপনি দায়িত্ব নেওয়ার পর বিআইসিএমকে আরও গতিশীল করতে কী উদ্যোগ নিয়েছেন?

আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর ১৫টি সার্টিফিকেট কোর্স নতুন করে চালু হয়েছে। আরও বেশ কিছু কোর্স পাইপলাইনে আছে। কোভিড মহামারির মধ্যেও আমরা অনলাইনে কার্যক্রম চালু রেখেছি। পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হওয়ায় কোর্সগুলো অফলাইনেও শুরু হয়েছে। এর মধ্যে একটি সার্টিফিকেশন কোর্স আছে, যা ১ বছর মেয়াদি। এই কোর্সটি যারা করবে তারা সার্টিফায়েড ফিন্যান্সিয়াল মডেলার হিসেবে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত হবে। যখন বিনিয়োগ অভিঘাতসমূহের প্রেডিকশন করা দরকার, তখন এই মডেলারদের সম্পৃক্ততা এ ধরনের কাজকে আরও সহায়তা করবে। ট্রেনিংপ্রাপ্ত মডেলারগণ ভবিষ্যতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের বাজারদর উত্থান-পতন সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাদি নিয়ে বিশ্লেষণ করতে সক্ষম হবেন এবং নিজেদের পোর্টফোলিও ঝুঁকি হ্রাস করতে পারবেন।

পুঁজিবাজার নিয়ে বিআইসিএমের গবেষণা কার্যক্রম সম্পর্কে আমাদের অবহিত করবেন কি?

নিশ্চয়ই। আমাদের এখানে শিক্ষকরা নিয়মিত গবেষণায় নিয়োজিত রয়েছেন। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রতি মাসে গবেষণা সেমিনার আয়োজন করছি। কোভিড মহামারির মতো দুর্যোগের সময়ও আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর গত ৬ ও ৭ এপ্রিল ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স করেছি, যার বিষয় ছিল ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট’, যা আমাদের দেশের পরিপ্রেক্ষিতে অত্যন্ত সময়োপযোগী এবং গুরুত্ববহ বিষয়। দেশ-বিদেশের স্বনামধন্য বিশেষজ্ঞরা এতে অংশ নিয়েছেন। তাদের সবাইকে আমরা একটি প্ল্যাটফর্মে আনতে পেরেছি। তখন করোনা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার কারণে লকডাউন চলছিল। কনফারেন্স আয়োজনটা বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল, কিন্তু তারপরও আমরা সফলতার সঙ্গে আয়োজনটি সম্পন্ন করতে পেরেছি।

এই কনফারেন্সের উল্লেখযোগ্য অর্জনসমূহ আমাদের জানাবেন।

আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল (এসডিজি) অর্জনে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। বেশ কয়েকটি লক্ষ্য আমরা স্পর্শ করেছি। এসডিজিকে সামনে রেখে আমরা সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট সম্পর্কে ভালো দিকনির্দেশনা এই কনফারেন্স থেকে পেয়েছি। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আমরা মুজিববর্ষ পার করেছি। এই সময়টাকে স্মরণীয় করে রাখতে আমরা গবেষণামূলক ‘জার্নাল অব ফিন্যান্সিয়াল মার্কেট অব গভর্ন্যান্স’ শীর্ষক একাডেমিক জার্নাল প্রকাশ করেছি, যা এখন থেকে প্রতিবছর দুটি সংখ্যায় প্রকাশিত হবে। এছাড়া বিআইসিএমের শিক্ষকগণ নিয়মিত পুঁজিবাজারের বিভিন্ন দিক সম্পর্কিত গবেষণাপত্রও প্রকাশ করে চলেছেন।

বিনিয়োগবিষয়ক শিক্ষা গ্রহণে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কতটুকু?

আমাদের বিনিয়োগকারীরা চিন্তা করেন খুব অল্প সময়ে বেশি মুনাফা আয় করবেন। মুনাফা অর্জনের চেষ্টা সবাইকে করতে হবে, কিন্তু এই ধরনের চিন্তাচেতনা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। তবে আমার মনে হচ্ছে, আগের থেকে বিনিয়োগকারীরা এই বিষয়গুলোর অনেকটাই বুঝতে পারছেন। কারণ, পুঁজিবাজারে ভালো করতে গেলে তাড়াহুড়ো করা যাবে না। অল্প সময়ে অধিক মুনাফা করা যাবে না। পুঁজিবাজার বিনিয়োগে সাফল্য অর্জনের জন্য এই বাজারকে গভীরভাবে বুঝতে হবে এবং জ্ঞান অর্জন করেই পুঁজিবাজারে লেনদেন করতে হবে।

বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে কোন বিষয়গুলো আমলে নেওয়া বেশি জরুরি?

বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত হতে হবে তথ্যনির্ভর। যেকোনো প্রতিষ্ঠানের মৌলিক বিষয়গুলো দেখতে হবে। এই তথ্য আহরণের জন্যই মূলত মৌলিক বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে হবে। এখনো এ বিষয়ে বিনিয়োগকারীদের সচেতনতার অভাব রয়েছে। অবশ্য ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। সব পক্ষকে একসঙ্গে মিলে কাজ করতে হবে। নিজ পরিসরে বিআইসিএম নিয়ামকের ভূমিকা পালনে সচেষ্ট রয়েছে এবং আশা করছি সামনের দিনগুলোতে সরকারের সহায়তায় আমরা আরও ব্যাপকতর পর্যায়ে বিনিয়োগ শিক্ষাদানের কার্যক্রম চালিয়ে যাব।

বড় পরিসরে আরও কী কী ধরনের কাজ করার সুযোগ আছে?

বিনিয়োগ সচেতনতা বাড়ানোর জন্য এখন আরও বিনিয়োগ দরকার। ঢাকার বাইরেও এই সচেতনতা বৃদ্ধির কর্মসূচি নেওয়া দরকার। আমাদের সহায়তা করলে আমরা স্বল্প খরচে এটি করতে পারতাম। জেলা পর্যায়ে অফিস প্রতিষ্ঠা করা, জনবল নিয়োগ করা এবং ট্রেনিং দেওয়া বেশ খরচের ব্যাপার। কিন্তু এখন চাইলে এটি কম খরচে করা যায়। কারণ ইউনিয়ন পর্যায়ে ডিজিটাল সেবা পৌঁছে গেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসেও ডিজিটাল সুবিধা রয়েছে। সেখানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়। বিআইসিএম সহজে এই কাজ করতে পারবে। কিন্তু প্রশিক্ষণার্থী জোগাড় করার দায়িত্বটা সরকারের উপজেলা অফিসকে নিতে হবে। তাদের আমরাও বলতে পারব। তবে এ ব্যাপারে সরকারের সিদ্ধান্ত প্রয়োজন।

পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বর্তমান সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের ভূমিকা ও কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে কী বলবেন?

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনায় বর্তমান কমিশনের ভূমিকা ও অবদান এককথায় অসাধারণ। কমিশনের বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম স্যারের কথা এ ক্ষেত্রে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তাঁর অক্লান্ত-অবিশ্রান্ত প্রচেষ্টায় কোভিড-পরবর্তী পুঁজিবাজারে যে দুঃসময় ছিল, তা কেটে গেছে। তলানি থেকে বাজার বর্তমানে অনেক ওপরে উঠে এসেছে। বিনিয়োগকারীদের হারানো আস্থা ফিরেছে। সূচকের উত্থান রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। বর্তমান কমিশন যেকোনো পর্যায়ের আন্তরিকতা, যোগ্যতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করছে, তা অনেকাংশে অননুমেয়। যেমন বিআইসিএম যে মাস্টার্স প্রোগ্রাম চালু করেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত না হলে এটি চালু করা যেত না। সাধারণত এই ধরনের অধিভুক্তির জন্য বেশ খানিকটা সময় লেগে যায়। কিন্তু বিএসইসির বর্তমান চেয়ারম্যান স্যারের সর্বোচ্চ চেষ্টার ফলেই খুব অল্প সময়ের মধ্যে বিআইসিএম এই অধিভুক্তি অর্জনে সমর্থ হয়েছে। চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম স্যারের অসামান্য দূরদৃষ্টি এবং সহযোগিতা ছাড়া আমাদের এমএ এফসিএম প্রোগ্রামটি দ্রুততার সঙ্গে চালু করা প্রায় অসম্ভব ছিল।

বিনিয়োগকারীদের সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে গণমাধ্যমের কী ধরনের ভূমিকা প্রত্যাশা করেন?

আমি আশা করি, গণমাধ্যমকর্মীদের সক্রিয় ভূমিকায় পুঁজিবাজার-সংক্রান্ত সংবাদ ও তথ্যাদি দেশের জনগণের কাছে বাজারের নিরপেক্ষ চালচিত্র হিসেবে প্রতিফলিত হবে। গণমাধ্যমকর্মীদেরও এক্ষেত্রে আগ্রহ থাকতে হবে। এ দূরযাত্রায় বিআইসিএম তাদের প্রায়োগিক এবং ব্যবহারিক বিভিন্ন পর্যায়ের জ্ঞান-দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করার জন্য সদা-আগ্রহী।

সাপ্তাহিক এই সময়কে সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

আপনাকেও ধন্যবাদ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সাক্ষাৎকার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

সাক্ষাৎকার এর সর্বশেষ

প্রতি মুহূর্তেই মনে হচ্ছিল আর্মিরা ধরে নিয়ে যাবে: ফরিদা খানম সাকি

দাম বাড়ালে এতক্ষণে কার্যকর হয়ে যেত: ক্যাব সহ-সভাপতি নাজের হোসাইন

জন্ম থেকেই নারীদের যুদ্ধ শুরু হয়: নারী উদ্যোক্তা ফরিদা আশা

নারীরা এখন আর পিছিয়ে নেই

ভবন নির্মাণে সিটি করপোরেশনের ছাড়পত্র নেওয়ার নিয়ম করা উচিত: কাউন্সিলর আবুল বাশার

তদারকি সংস্থা এবং ভবন নির্মাতাদের দায়িত্বশীল হতে হবে: অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান

বেইলি রোডের আগুনে রাজউকের ঘাটতি রয়েছে: মো. আশরাফুল ইসলাম

নতুন করে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে ভবন অনুমোদন দিতে হবে: ইকবাল হাবিব

বীমা খাতে আস্থা ফেরাতে কাজ করছি: আইডিআরএ চেয়ারম্যান জয়নুল বারী

ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে কিছু জঙ্গি সংগঠন মাথাচাড়া দিতে চায়

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :