গোপালগঞ্জে গোপনে নারীর লাশ দাফন করতে গিয়ে আটক ২

প্রকাশ | ২৪ জানুয়ারি ২০২২, ১৬:০৮

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

গোপালগঞ্জে গোপনে উম্মে সাইয়েদা (২৩) নামে এক নারীকে  দাফন করতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা খেলেন চট্রগ্রাম রেলওয়ের উপ সহকারী প্রকৌশলী মো. শাহলম ও তার সহযোগী  লিওন শাহা। সোমবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, রবিবার রাতেই কবর খুঁড়ে রাখা হয়। সোমবার ভোরে গোপালগঞ্জ পৗরসভার নতুন কবরস্থানে তাকে দাফন করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়। কুমিল্লা থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে লাশ গোপালগঞ্জ কবরস্থানে আনা হয়। এ সময় কবর রেজিস্ট্রার মিজানুর রহমান ওই মৃত নারীর আইডি কার্ড অনুযায়ী পরিচয় জানতে চান। পরিচয় দিতে রাজি হয় না রেলওয়ে অফিসার  শাহলম ও লিওন সাহা। তারা কবর থেকে দ্রুত  লাশ উত্তোলন করে অ্যাম্বুলেন্সে  নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।

লাশের বিভিন্ন জায়গায় রক্ত লেগে থাকায় সন্দেহ হয়।  এ সময় কবর রেজিস্ট্রার বৈশাখী টেলিভিশনের সাংবাদিক শেখ মোস্তফা জামানকে জানান। তিনি দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান।  

চট্রগ্রাম রেলওয়ের উপ সহকারী প্রকৌশলী মো. শাহ আলমের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘লিওন সাহা নামে একটি ছেলের মাধ্যমে আমি উম্মে সাইয়েদা (২৩) নামে ওই নারীকে ১১ দিন আগে বিয়ে করি। দুদিন আগে  হটাৎ করে তার মৃত্যু হয়। তাই কুমিল্লা থেকে  এখানে কিছু লোকের মাধ্যমে আমি আমার দ্বিতীয় স্ত্রীকে দাফন করতে আসি। আমার স্ত্রীর পিতৃ পরিচয় আমি জানি না।

সাংবাদিকের সঙ্গে এলোমেলো কথা বলা ও রেলওয়ে অফিসারের সারা শরীরে রক্ত লেগে থাকায় ঘটনা নিয়ে সন্দেহ  হয়। পরে গোপালগঞ্জ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হলে দ্রুত পুলিশ গিয়ে তাকে ও তার সহযোগীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

আটক শাহ আলমের বাড়ি কুমিল্লা জেলার ময়নামতি গ্রামে। তার সহযোগী লিওন সাহা গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতি গ্রামের সুশিল সাহার ছেলে। 

 গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম জানান, আটকের পর তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে এটা হত্যাকাণ্ড।লাশ ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।  

(ঢাকাটাইমস/২৪জানুয়ারি/কেএম)