আইসিসির বর্ষসেরা ওয়ানডে ক্রিকেটার
কেন শেষমেশ পিছিয়ে পড়লেন আমাদের সাকিব
সম্প্রতি আইসিসির বর্ষসেরা ওয়ানডে ক্রিকেটারের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে বাংলাদেশি অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে পেছনে ফেলে ওয়ানডের বর্ষসেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। তবে তার জায়গায় এবার থাকতে পারতো সাকিবের নাম। কিন্তু কেন শেষমেষ পিছিয়ে পড়লেন তিনি?
২০২১ সালটা ভালই কেটেছে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের। ব্যাটে কিংবা বলে কোনোদিকেই খারাপ পারফরম্যান্স ছিল না তার। গত বছর বাংলাদেশের জার্সি গায়ে মোট নয়টি ম্যাচ খেলেন সাকিব। এই ৯ ম্যাচে ৩৯.৫৭ গড়ে ২৭৭ রান করেছেন তিনি। এর মধ্যে দুটি ফিফটি রয়েছে।
অন্যদিকে বল হাতে ১৭.৫২ গড়ে নেন ১৭ উইকেট। আর গত বছরের জানুয়ারিতে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজসেরার পুরস্কারও যায় সাকিবের হাতে। আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছিল সাকিবই জিতবেন আইসিসির বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার। কিন্তু তাকে ছাড়িয়ে গেলেন বাবর।
এদিকে ২০২১ সালে পাকিস্তানি অধিনায়ক বাবর আজম মাত্র ছয়টি একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ খেলেছেন। এই ছয় ম্যাচ খেলেই ৬৭.৫০ গড়ে করেছেন ৪০৫ রান। তাতে রয়েছে একটি ফিফটি এবং দুটি শতরানের ইনিংস।
গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ জিতে পাকিস্তান। এই সিরিজে ২২৮ রান করেন বাবর, যা সেই সিরিজের দ্বিতীয় ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান। আর ইংল্যান্ডের মাটিতে পাকিস্তান ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই হলেও সে সিরিজেও পাকিস্তানের হয়ে একা যা লড়েছেন বাবর। তিন ম্যাচে ১৭৭ রান করেছেন, যেখানে পাকিস্তানের আর কোনো ব্যাটসম্যান সিরিজে ১০০ রান করতে পারেননি। আর তৃতীয় ম্যাচে একাই করেছিলেন ১৫৮ রান। যা তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারেরই সেরা!
ওয়ানডে ক্রিকেটে সাকিব ও বাবর দুজনই নিজ নিজ ক্ষেত্রে সেরা। সর্বোচ্চ ৮৭৩ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে ওয়ানডে ব্যাটিং র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বরে অবস্থান করছেন বাবর আজম। আর ব্যাটার হিসেবে ওয়ানডেতে সাকিবের পজিশন ২৬, রেটিং ৬৪১। বোলার হিসেবে র্যাঙ্কিংয়ে নয় নম্বরে আছেন তিনি, রেটিং ৬৫০। তবে ৪১৬ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে সাকিব শীর্ষে রয়েছেন ওয়ানডে অলরাউন্ডারের তালিকায়। গেল বছর দুজনই দুর্দান্ত পারফর্ম করলেও আইসিসি বাবরকেই বর্ষসেরা ওয়ানডে ক্রিকেটার নির্বাচিত করার কারণ বাবরের ধারাবাহিকতা। গত বছরের প্রতিটি ম্যাচেই দলের করুণ অবস্থাতেও সরব ছিল তার ব্যাট।
(ঢাকাটাইমস/২৪জানুয়ারি/এমএম/ইএস)