বিধিনিষেধের সময়সীমা বাড়বে কি না সিদ্ধান্ত এক সপ্তাহ পর

প্রকাশ | ২৪ জানুয়ারি ২০২২, ১৮:২০ | আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২২, ১৮:২২

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
বিধিনিষেধ মানাতে চলছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান

করোনা পরিস্থিতি কোন দিকে যায় তা বিবেচনা করে চলমান বিধিনিষেধের সময়সীমার ব্যাপারে এক সপ্তাহ পর সিদ্ধান্ত  হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। স্বাস্থ্যবিধি মানাতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে বলেও জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।

সোমবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী এই কথা জানান।

ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য সবাই মাস্ক পরুক। এই সময়টা আমরা অতিক্রম করতে চাই। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি নাগাদ এটি বাড়তে থাকবে। সবাইকে সচেতন হতে হবে। আমরা চাই, এই তৃতীয় ঢেউ থেকে যত তাড়াতাড়ি উত্তোরণ করতে পারি। সেজন্য সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলা করতে হবে।’

মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপ রোধে গত ১০ জানুয়ারি ১১ দফা বিধিনিষেধ জারি করে সরকার। এর মধ্যে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক, করোনার টিকার সনদ নিয়ে হোটেল-রেস্তোরাঁয় খাবার গ্রহণ, সবধরনের সভা-সমাবেশ বন্ধ এবং স্বাস্থ্যবিধি মানাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার কথা জানানো হয়েছে।

গত ১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই নির্দেশনা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত মেনে চলতে হবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

এদিকে গত ২১ জানুয়ারি জারি করা নতুন প্রজ্ঞাপনে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশের সব স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার থেকে সরকারি ও বেসরকারি দপ্তর অর্ধেক জনবল দিয়ে পরিচালনার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।

আগামী ৬ ফেব্রুয়ারির পর এই বিধিনিষেধ বাড়বে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘অবশ্যই পরিস্থিতি বিবেচনা করে। কারণ আমাদের সচেতনতার ওপরে...এখন যে ভ্যারিয়েন্টটা দেখছি ওমিক্রন, এটা সেরে উঠতে অল্প সময় নিচ্ছে। রিকভারি রেট কিন্তু খুবই ভালো। ৮৫ শতাংশের বেশিসংখ্যক আক্রান্ত মানুষ ঘরে থেকে ট্রিটমেন্ট নিতে পারছেন এবং তারা সেরে উঠছেন। আমরা অবশ্যই আগামী এক সপ্তাহ পর দেখবো এটা (সংক্রমণ) কী পর্যায়ে আছে, সেই অনুযায়ী আমরা পরবর্তী নির্দেশনা দেবো।’

গণপরিবহন সরকারের বিধিনিষেধ মানছে না- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, ‘সরকারের দেওয়া বিধিনিষেধ সবাইকে মানতে হবে। ইউরোপ সংক্রমণের ক্ষেত্রে তাদের পিক সময় পার করেছে। আমাদের একটু পরে শুরু হয়েছে। এজন্য আমাদের একটু পরে সেটা (চূড়ান্ত সংক্রমণ) হতে পারে। সেক্ষেত্রে আমরা চাইবো, যাদের যেভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, নির্দেশনাগুলো সবাই মেনে চললে তা সবার জন্যই ভালো। পরিবহন সেক্টরে যারা রয়েছেন তাদেরও আমাদের সহযোগিতার করতে হবে। নিয়ম মেনে তারা গণপরিবহন পরিচালনা করবেন। এর মধ্য দিয়ে আমরা একটা ভালো রেজাল্ট পাবো। আশা করছি, অল্প সময়ের মধ্যে তৃতীয় ঢেউ উত্তোরণ করবো।’

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মানুষকে বলবো, আপনারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন। সবাইকে মাস্ক পরে বাইরে আসতে হবে। আমাদের অ্যানাউন্সমেন্টে বলা হবে আপনারা মাস্ক পরেন। একটা ডেট দেওয়া হবে যে, আগামীকাল থেকে মোবাইল কোর্ট নামবে। তাই আগে থেকে সতর্ক করে নিয়েই কিন্তু মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।’

ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘মানুষ এরই মধ্যে জানানো হয়েছে যে, এটা (করোনা সংক্রমণ) বেড়ে যাচ্ছে। মানুষ সচেতন হওয়া শুরু করেছে। তাদের কাছে বার্তা চলে গেছে। আমরা চাই, সবাইকে জানিয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। তখন বলার একটা যৌক্তিকতা থাকবে যে, আমরা সতর্ক করে দিয়েছিলাম।’

(ঢাকাটাইমস/২৪জানুয়ারি/বিইউ/জেবি)