শাবির আন্দোলনে তৃতীয় পক্ষের হাত: ঢাবি শিক্ষক সমিতি

প্রকাশ | ২৪ জানুয়ারি ২০২২, ১৮:৪১

ঢাবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
রবিবার শাবি ভিসির বাসভবন ঘেরাও করেন শিক্ষার্থীরা

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান আন্দোলনের গতি-প্রকৃতি সম্পর্কে বিভিন্ন গণমাধ্যমে উপস্থাপিত তথ্যের ভিত্তিতে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীর বাইরেও তৃতীয় একটি পক্ষের হাত দেখছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
সোমবার (২৪ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহ এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
গত ১৩ জানুয়ারি শাবিপ্রবির বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের বিভিন্ন ইস্যুতে প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে ছাত্রীরা আন্দোলন শুরু করেন। আন্দোলন চলাকালে পুলিশের বলপ্রয়োগের মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে ওই হলের প্রভোস্ট পদত্যাগ করেন। শিক্ষার্থীদের মূল দাবি পূরণ হলেও এক পর্যায়ে তা উপাচার্যের পদত্যাগের আন্দোলনে রূপ নেয়। আন্দোলনের এই রূপান্তরের বিষয়টি অত্যন্ত অনভিপ্রেত এবং উদ্বেগের জানিয়ে ঢাবি শিক্ষক সমিতি তা খতিয়ে দেখার দাবি জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, চলমান পরিস্থিতিতে গতকাল আন্দোলনকারীরা হঠাৎ করেই উপাচার্যের বাসার পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে, যা অমানবিক এবং শিক্ষাঙ্গনের আন্দোলনে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত মাত্রা যুক্ত করেছে। শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মধ্যে যেকোনো সমস্যা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করাই বাঞ্ছনীয়।

ঢাবি শিক্ষক নেতারা বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে আন্দোলনের গতি-প্রকৃতি সম্পর্কে যে ধরনের তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপিত হয়েছে তা থেকে প্রতীয়মান হয় যে, শিক্ষক-শিক্ষার্থীর বাইরে তৃতীয় একটি পক্ষ এই আন্দোলনে ফায়দা হাসিলের অপচেষ্টায় লিপ্ত। একটি বিশেষ মহল এই আন্দোলনকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপান্তরের অপচেষ্টা করছে বলে প্রতীয়মান হয়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আমরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ের গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানাই। একই সাথে সরকারকে আহ্বান জানাবো, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে অবিলম্বে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে। পাশাপাশি পুলিশি হামলায় কারো কোনো উস্কানি রয়েছে কি না তাও তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।
(ঢাকাটাইমস/২৪ জানুয়ারি/আরএল/জেবি)