শাবিপ্রবি ভিসির পদত্যাগের দাবিতে খুবিতে প্রতীকী অনশন

প্রকাশ | ২৪ জানুয়ারি ২০২২, ১৯:৪৩

খুবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে প্রতীকী অনশন করেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষার্থীরা। শাবিপ্রবির অনশনরত শিক্ষার্থীদের সাথে সংহতি জানিয়ে এ কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা।

সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদী চত্বরে দুপুর ১২টা থেকে দুইটা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা প্রতীকী অনশন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

অনশনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, শাবিপ্রবি উপাচার্য এখনো শিক্ষার্থীদের এক দফা দাবি মেনে পদত্যাগ না করে বরং শিক্ষার্থীদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের অনশনের ১১৫ ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে। যে কোনো সময় অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটতে পারে। এসময় তারা অনতিবিলম্বে শাবিপ্রবি উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করেন।

অনশনরত শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, একজন উপাচার্য একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক। শিক্ষার্থীরা যে অভিভাবককে চায় না,  তিনি কীভাবে এই পদে থাকেন। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় জনগণের বিশ্ববিদ্যালয়। জনগণের ভ্যাট ট্যাক্সের টাকায় চলে এ বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে একজন ভিসি কতটা নিষ্ঠুর, কতটা স্বৈরাচারী হলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ লেলিয়ে দিয়ে হামলা করতে পারে। আমরা অনতিবিলম্বে শাবিপ্রবি ভিসির পদত্যাগ চাই।

অনশনরত আরেক শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, শাবিপ্রবি ভিসির কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিরাপদ নয়। সাধারণ শিক্ষার্থীরা যদি না চায়, তাহলে শাবিপ্রবির ভিসি একদিনও তার পদে থাকতে পারেন না। আমাদের একটাই দাবি অনতিবিলম্বে তার পদত্যাগ চাই।

মামুন আরো বলেন, এর আগে আমরা মানববন্ধন করেছি ও ভিডিও বার্তাও দিয়েছি। যতক্ষণ পর্যন্ত শাহজালালের ভিসি পদত্যাগ না করবে আমরা প্রতিবাদ কর্মসূচি অব্যাহত রাখব।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ১১ দিন ধরে উত্তাল শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়। আন্দোলনের প্রথম ছয়দিনে দাবি পূরণ না হওয়ায় গত বুধবার বিকাল তিনটা থেকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আমরণ অনশনে বসেন শিক্ষার্থীরা।

শাবিপ্রবির উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে আমরণ অনশনরত শিক্ষার্থীদের প্রায় সবার শরীরে জ্বর। নেতিয়েপড়া শরীরে ঠিকমতো কথা বলতে পারছেন না তারা। এমন শারীরিক অবস্থার মধ্যেও এ কর্মসূচি চালিয়ে যেতে অনড় তারা। ইতোমধ্যে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বেশ কয়েকজন অনশনকারী শিক্ষার্থী।

রবিবার শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা চলার মধ্যেই ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।

(ঢাকাটাইমস/২৪জানুয়ারি/আইএইচ/এলএ)