ইউনিক হোটেলের আয় বেড়েছে ৪০০ শতাংশ
মহামারি করোনার কারণে ব্যবসায়িক মন্দার মুখে পড়েছিল দেশের ভ্রমণ ও অবসর খাতের প্রতিষ্ঠান ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট লিমেটেড। করোনা প্রকোপ কমে আসায় কিছুটা সুবাতাস বয়েছে এই খাতে। যার ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে ইউনিক হোটেলের আয়ে।
চলতি ২০২১-২২ হিসাব বছরের প্রথমার্ধে অর্থাৎ ছয় মাসে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায আয় বেড়েছে ৩০০ গুণ। তবে দ্বিতীয় প্রান্তিকে অর্থাৎ শেষ তিনমাসে আগের বছরের তুলনায় আয় বেড়েছে ৪০০ গুণ। সোমবার ইউনিক হোটেলের সভায় চলতি ২০২১-২২ হিসাব বছরের প্রথমার্ধের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন করেছে পরিচালনা পর্ষদ। ওই প্রতিবেদনেই এ তথ্য মিলেছে।
ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টের প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে-পাঁচ তারকা ওয়েস্টিন দ্য হোটেল ও চার তারকা হানসা রেসিডেন্স।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২১ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৪ পয়সা। এর আগের বছর ২০২০ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর সময়ে শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ১২ পয়সা। অর্থাৎ, গত ছয় মাসে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কোম্পানির শেয়ারপ্রতি মুনাফা বেড়েছে ৩৬ পয়সা।
এর মধ্যে দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টসের ইপিএস হয়েছে ২৫ পয়সা। যেখানে আগের বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি ৮ পয়সা লোকসান হয়েছিল। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৮৭ টাকা ৭৮ পয়সা।
সর্বশেষ ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২১ হিসাব বছরে উদ্যোক্তা পরিচালক বাদে সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ সুপারিশ করেছে ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টসের পরিচালনা পর্ষদ। সর্বশেষ সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত লোকসান হয়েছে ৩৩ পয়সা।
আগের হিসাব বছরে যেখানে শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় ছিল ৮৮ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)। ২০২১ সালের ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৮৮ টাকা ৩ পয়সা, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৮২ টাকা ৭ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)।
এর আগের ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরে উদ্যোক্তা পরিচালক বাদে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস।
২০১২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১ হাজার কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ২৯৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ১ হাজার ৬৭৮ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ২৯ কোটি ৪৪ লাখ। এর ৪৬ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে। এছাড়া ২৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, দশমিক ৫৬ শতাংশ বিদেশী বিনিয়োগকারী ও বাকি ২৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সোমবার ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টসের শেয়ারের সর্বশেষ ও সমাপনী দর ছিল ৫৫ টাকা ৭০ পয়সা। গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ার সর্বোচ্চ ৬৩ টাকা ৫০ পয়সা থেকে সর্বনিম্ন ৩০ টাকা ৯০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে।
ঢাকাটাইমস/ ২৫ জানুয়ারি/এইচএফ