জানুন পপুলার লাইফের সাবেক চেয়ারম্যান হত্যা মামলার আসামি হলেন কারা

প্রকাশ | ২৬ জানুয়ারি ২০২২, ১৬:২৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সাবেক চেয়ারম্যান হাসান আহমেদের মৃত্যুর ঘটনায় স্ত্রী-শাশুড়িসহ আটজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেছেন নিহতের ছোট ভাই কবির হোসেন। মঙ্গলবার রাতে পল্টন মডেল থানায় মামলাটি করা হয়। মামলা নম্বর-৫৫।

বুধবার দুপুরে পল্টন মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সেন্টু রহমান মামলার বিষয়টি ঢাকা টাইমসকে নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, তারা এখন তদন্ত কার্যক্রম শুরু করবেন।

মামলায় নিহত হাসান আহমেদের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস, শাশুড়ি রুনা লায়লা, ভায়রা আহমেদ এরশাদ, শ্যালিকা চাদনী নুর, শ্যালক মেহমুদ রেজা, ফাহিম ফারুক, শাহরুখ খান সাজিদ ও শ্যালিকা পারভীন আখিলকে আসামি করা হয়েছে। 

মামলায় হাসান আহমেদকে একটি ঘরে নির্যাতনে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার ছোট ভাই কবির হোসেন। তবে এ বিষয়ে জানতে তার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

এর আগে কবির হোসেন বাদী হয়ে গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর মুখ্য হাকিমের আদালতে একটি পিটিশন দাখিল করেন। পরে আদালত তার অভিযোগটিকে মামলা হিসেবে নিতে পল্টন মডেল থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। অভিযোগে বলা হয়, হাসান আহমেদকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে তার স্ত্রীসহ আটজন মিলে হত্যা করেছেন।

পুলিশের একটি সূত্র জানায়, হাসান আহমেদ সপরিবার পল্টন বক্স কালভার্ট রোডের রূপায়ন তাজ ভবনের ১৪ তলায় থাকতেন। পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশকে বলা হয়, হাসান আহমেদ হৃদরোগে ভুগছিলেন। গত সোমবার সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে শাহবাগের ইব্রাহিম কার্ডিয়াক (বারডেম) হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার বিকালে হাসান আহমেদের জানাজা হচ্ছিল। তখন পুলিশ সেখানে গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।

হাসান আহমেদের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছেন তার স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস। তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। তিনি ডায়াবেটিস ও হার্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। অথচ তার ভাই আমিসহ আমার মা-ভাই-বোনদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করে হয়রানি করছেন। আমি ন্যায়বিচার চাই।’

জান্নাতুল ফেরদৌসের ভাষ্য, তার স্বামী দুই বছর আগে স্ট্রোক (মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ) করেছিলেন। তখন তাকে রাজধানীর পান্থপথের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। সেই থেকে তার স্বামী দাঁড়াতে পারতেন না। তিনি হুইলচেয়ারে করে চলাফেরা করতেন। হাসান আহমেদের সম্পত্তি আত্মসাতের জন্য আগেও চেষ্টা করা হয়েছে। এখনো হচ্ছে।

হাসান আহমেদের বাড়ি চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায়। তিনি দুই মেয়ে ও এক ছেলের জনক।

(ঢাকাটাইমস/২৬জানুয়ারি/এএ/জেবি)