যে কারণে অন্য ধরনের তুলনায় দ্রুত ছড়াচ্ছে ওমিক্রন

প্রকাশ | ২৬ জানুয়ারি ২০২২, ২১:২৫

ঢাকাটাইমস ডেস্ক

করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন ধারণার চেয়েও বেশি গতিতে ছড়াচ্ছে। করোনা সংক্রমণের প্রায় দুই বছরে আর কোনো ধরনই এতটা দ্রুতগতিতে ছড়ায়নি। ওমিক্রন কেন এতটা সংক্রামক তা উঠে এসেছে এক সমীক্ষায়। শরীরের ত্বকে ২১ ঘণ্টা পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে ওমিক্রন। একই সঙ্গে প্লাস্টিকের উপরেও বেঁচে থাকতে পারে আট দিন পর্যন্ত। আর এই কারণেই ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়তে সময় নিচ্ছে না।

সমীক্ষায় আরও লক্ষ করা গেছে, ওমিক্রন, আলফা, বিটা এবং ডেল্টা রূপ করোনার প্রাথমিক রূপের তুলনায় ত্বক এবং প্লাস্টিকের উপরিভাগে প্রায় দ্বিগুণ সময় ধরে বেঁচে থাকতে পারে।

সমীক্ষা অনুযায়ী, কোভিডের প্রাথমিক রূপ প্লাস্টিকের উপর ৫৬ ঘণ্টা পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। কিন্তু কোভিডের আলফা, বিটা, গামা এবং ডেল্টা রূপের প্লাস্টিকের উপর গড় আয়ু যথাক্রমে, ১৯১.৩ ঘণ্টা, ১৫৬.৬ ঘণ্টা, ৫৯.৩ ঘণ্টা এবং ১১৪ ঘণ্টা। তবে, ওমিক্রন রূপের প্লাস্টিকের ওপর গড় আয়ু সর্বোচ্চ, ১৯৩.৫ ঘণ্টা।

ত্বকের ক্ষেত্রেও, ভাইরাসের মূল রূপের বেঁচে থাকার গড় সময় ৮.৬ ঘণ্টা। তবে করোনার আলফা রূপ ১৯.৬ ঘণ্টা, বিটা রূপ ১৯.১ ঘণ্টা, গামা রূপ ১১ ঘণ্টা, ডেল্টা রূপ ১৬.৮ ঘণ্টা এবং ওমিক্রন ২১.১ ঘণ্টা পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে।

সম্প্রতি জাপানের কিয়োটো প্রিফেকচারাল ইউনিভার্সিটি অব মেডিসিনের গবেষকরা উহানে উদ্ভূত সার্স-কোভ-২ ভাইরাস এবং এর রূপগুলোর মধ্যে পরিবেশগত স্থিতিশীলতার পার্থক্য বিশ্লেষণ করেছেন। নেটমাধ্যমের একটি আর্কাইভ বায়োস্কিভ-এ সম্প্রতি এই গবেষণাপত্রটি প্রকাশ করা হয়েছে।

এই সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে, পরিবেশে করোনার রূপগুলোর উচ্চ সহনশীলতার কারণেই এই ভাইরাস মানুষের মধ্যে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। আর তাই গোষ্ঠী সংক্রমণ হচ্ছে বলেও এই সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে।

সমীক্ষায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, করোনার সব রূপের মধ্যে ওমিক্রনের পরিবেশগত সহনশীলতা সর্বোচ্চ। তাই এই নয়া রূপ অন্য রূপগুলোর তুলনায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এই বৈশিষ্ট্যের জন্য ওমিক্রন, ডেল্টা রূপকেও দ্রুত প্রতিস্থাপন করতে পারে বলেও সমীক্ষায় বলা হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/২৬জানুয়ারি/জেবি)