মেয়েকে গুমের অভিযোগে বাবার যাবজ্জীবন

রংপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৬ জানুয়ারি ২০২২, ২১:৪৫

রংপুরের পীরগাছার মকরমপুর গ্রামে নিজের মেয়ে রাবেয়া বেগমকে (৩৫) অপহরণ করে গুম করার মামলায় বাবা লুৎফর রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা হয়েছে। রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-২ এর বিচারক মো. রোকনুজ্জামান বুধবার এ আদেশ দেন।

আদালত সূত্র জানায়, পারিবারিক বিরোধে ১৯৯৯ সালে রাবেয়া বেগমের চাচাশ্বশুর হাছেন আলীকে তার বাবা লুৎফর রহমানসহ অন্যান্যরা হত্যা করে। এ ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী ছিলেন লুৎফরের মেয়ে রাবেয়া খাতুন।

রাবেয়া তার বাবা লুৎফর রহমানকে জানিয়েছেন, চাচাশ্বশুর হত্যার ঘটনায় তিনি আদালতে সাক্ষ্য দেবেন। এ ঘটনায় লুৎফর রহমান ক্ষিপ্ত হয়ে মেয়ে রাবেয়াকে হত্যা করে অথবা লাশ গুম করার নানান পরিকল্পনা করতে থাকে।

২০০৩ সালে ২০ এপ্রিল মেয়ে রাবেয়াকে ঢাকায় নেওয়ার জন্য পীরগাছা চৌধুরানী বাজারে ঢাকা বাসস্ট্যান্ডে নিয়ে যান লুৎফর। সেখানে তার বেশ কয়েকজন সহযোগীও ছিল। কিন্তু রাবেয়া বিষয়টি বুঝতে পেরে চিৎকার শুরু করলে লুৎফর রহমান মেয়ে রাবেয়াকে বাড়িতে নিয়ে যায়।

এর এক মাস পর ২০০৩ সালের ২৭ মে থেকে রাবেয়ার কোনো সন্ধান না পাওয়ায় তার ছেলে রাঙ্গা মিয়া বাদী হয়ে পীরগাছা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। সেটি আদালতে পাঠায় পুলিশ। আদালত সাধারণ ডায়েরি তদন্ত করে এজহার হিসেবে রেকর্ড করার নির্দেশ দেন। এর মাসখানেক পরেই রাবেয়ার বাবা লুৎফর রহমানসহ ১০ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ।

সরকার পক্ষের আইনজীবী জাহাঙ্গীর হোসেন তুহিন বলেন, নিখোঁজ রায়েরার এখনও সন্ধান মেলেনি । সে কোথায় কীভাবে আছে কেউ জানে না। মামলায় ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষে আসামি লুৎফর রহমানকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেন আদালত। বাকি নয়জন আসামির মধ্যে একজনের মৃত্যু হয় এবং অন্য আট আসামিকে খালাস দেওয়া হয়। এ সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/২৬জানুয়ারি/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :