হঠাৎ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় কাঞ্চন-নিপুণরা, তবে কি...

প্রকাশ | ২৭ জানুয়ারি ২০২২, ০৯:২৬ | আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০২২, ১১:৩১

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে সামনে রেখে মঙ্গলবার ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণদের প্যানেল পরিচিতি সভা হয়। সেখানে সহসভাপতি প্রার্থী রিয়াজ দাবি করেন, অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন করে তাকে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া এফডিসিতে গেলে নাকি তার হাত-পা ভেঙে দেওয়া হবে। বিকালে এই অভিযোগ করার পর রাতেই রিয়াজরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বাসায় হাজির হন। দীর্ঘ সময় কথাও বলেন।

এদিন রিয়াজ ছাড়াও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় হাজির ছিলেন তাদের প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী ইলিয়াস কাঞ্চন, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নিপুণ আক্তার, সহসাধারণ সম্পাদক প্রার্থী সাইমন সাদিক, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক প্রার্থী ইমন ছাড়াও কয়েকজন। এ নিয়ে শুরু হয়েছে কানাঘুষা। হঠাৎ কেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় যেতে হলো কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেলকে? কী কথাই বা হলো তাদের মন্ত্রীর সঙ্গে? উঠছে এমন নানা প্রশ্ন।

কেউ বলছেন, শিল্পী সমিতির শুক্রবারের নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন স্বাভাবিক থাকে, রাজনৈতিকভাবে কেউ যেন প্রভাব বিস্তার করতে না পারে, সে সব বিষয়ে কথা বলতেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় গিয়েছিলেন কাঞ্চন-নিপুণরা। কেউ আবার বলছেন, রিয়াজকে ফোন করে যে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে নালিশ জানাতে তারা মন্ত্রীর বাসায় গিয়েছিলেন? এসব বিষয়ে কাঞ্চন-নিপুণরা কী বলছেন?

চিত্রনায়ক রিয়াজের বক্তব্য, ‘আমাকে যে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে সেটা মন্ত্রীকে জানানোর বিষয় না। এটা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানানোর বিষয়। সেটা জায়গামতো আমরা জানিয়েছি। আমরা মন্ত্রী মহোদয়ের বাসায় গিয়েছিলাম সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য। দেশের সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমরা কি একজন মন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য যেতে পারি না?’

তিনি আরও বলেন, ‘মন্ত্রীর সঙ্গে সালাম বিনিময় করে এসেছি। একজন ভালো মানুষের বাসায় গিয়েছিলাম। যিনি সুন্দরভাবে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করছেন। তিনি আমাদের সময় দিয়েছেন। নির্বাচন প্রসঙ্গে তার সঙ্গে কোনো কথা হয়নি। তবে তিনি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে, ভোটের দিন এফডিসিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে। নিজের হাতে তিনি সবটা কন্ট্রোল করছেন।’

শিল্পী সমিতির ১৭তম নির্বাচনের ভোট আগামীকাল শুক্রবার। এবার কাঞ্চণ-নিপুণ প্যানেল থেকে মোট ২১ জন অভিনয়শল্পী বিভিন্ন পদে লড়াই করছেন। তাদের বিপক্ষে একটি প্যানেল রয়েছেন গত দুই মেয়াদে দায়িত্ব সামলানো মিশা সওদাগর ও জায়েদ খানদের। তাদেরও প্রার্থী সংখ্যা ২১ জন। এছাড়া আছেন দুজন স্বতন্ত্র প্রার্থী। অর্থাৎ, এবার মোটা প্রার্থী সংখ্যা ৪৪ জন।

গত দুই মেয়াদে দেড় শতাধিক শিল্পী তাদের ভোটধিকার হারিয়েছেন। এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা আছে ৪২৮ জন। এবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন অভিনেতা পীরজাদা হারুন। এছাড়া আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যানের ভূমিকায় দেখা যাবে খ্যাতিমান পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানকে।

ঢাকাটাইমস/২৭জানুয়ারি/এএইচ