কোভিড সারার এক বছর পরও উপসর্গ ৪৫ শতাংশের শরীরে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৭ জানুয়ারি ২০২২, ২৩:৫৮

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সেরে ওঠার ছয় মাস পরও রোগীর শরীরে নানা উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। আর সেরে ওঠার তিন মাস পরও ভাইরাসটির উপসর্গ বিদ্যমান থাকছে ৭৮ শতাংশ রোগীর শরীরে। এছাড়া আক্রান্ত হওয়ার এক বছর পরও উপসর্গের দেখা মিলছে ৪৫ শতাংশ মানুষের শরীরে।

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) পরিচালিত এক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। আইইডিসিআরের ওয়েবসাইটে গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনেক কোভিড-১৯ রোগী সংক্রমণ পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন উপসর্গে ভুগে থাকেন। সুস্থ হওয়ার পরও এইসব উপসর্গকে পোস্ট কোভিড কন্ডিশন হিসেবে চিহ্নিত করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

আইইডিসিআর পরিচালিত একটি গবেষণায় দেখা যায় যে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে নিয়মিত ওষুধ সেবনকারীদের কোভিড-১৯ পরবর্তী উপসর্গে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনিয়মিত ওষুধ সেবনকারীদের তুলনায় প্রায় ৯ ভাগ পর্যন্ত কমে যায়। একইভাবে, ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে নিয়মিত ওষুধ সেবনকারী কোভিড-১৯ পরবর্তী উপসর্গে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কায় যারা নিয়মিত ওষুধ সেবন করেন না, তাদের তুলনায় প্রায় ৭ ভাগ পর্যন্ত কমে যায়।

গবেষণার প্রাথমিক তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, উপসর্গযুক্ত কোভিড-১৯ রোগীদের উপসর্গ দেখা দেওয়ার ৩ মাস, ৬ মাস, ৯ মাস ও ১২ মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পর যথাক্রমে ৭৮ শতাংশ, ৭০ শতাংশ, ৬৮ শতাংশ ও ৪৫ শতাংশের দেহে কোভিড-১৯ পরবর্তী উপসর্গ দেখা গেছে। এতে প্রতীয়মান হয় যে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রোগীদের কোভিড-১৯ পরবর্তী উপসর্গে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমাতে রেজিস্ট্রার্ড চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন মোতাবেক নিয়মিত ওষুধ সেবন করা জরুরি।

কোভিড-১৯ বিশ্বমারী প্রতিরোধে আইইডিসিআর থেকে সবাইকে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি পূর্ণ ডোজ কোভিড-১৯ টিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলমান গবেষণার মাধ্যমে ভবিষ্যতে কোভিড-১৯ পরবর্তী উপসর্গের ব্যাপারে আরও হালনাগাদ তথ্য পাওয়া যাবে।

এদিকে দেশে গত এক দিনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৫ জন মারা গেছেন। মোট মৃত্যু ২৮ হাজার ২৮৮ জনের। এছাড়া নতুন শনাক্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ৮০৭ জন। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৩১.৯৮ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছেন ১৭ লাখ ৪৭ হাজার ৩৩১ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৩৭ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৬১ হাজার ৪৩ জন।

গত ৫ আগস্ট দেশে সর্বোচ্চ ২৬৪ জন রোগী মারা যায়। ২৮ জুলাই সর্বোচ্চ শনাক্ত হয় ১৬ হাজার ২৩০ জন। তবে সেপ্টেম্বর থেকে তা কমতে শুরু করে। ডিসেম্বরের শুরু পর্যন্ত সেই ধারা অব্যাহত ছিল। তবে ডিসেম্বরের শেষ থেকে অব্যাহতভাবে বাড়ছে সংক্রমণ।

(ঢাকাটাইমস/২৭জানুয়ারি/কেআর/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :