পপির বুকে পিস্তল ঠেকিয়েছিলেন জায়েদ খান! বলেছিলেন...

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৮ জানুয়ারি ২০২২, ১০:৫৭

দেড় বছরের আড়াল ভেঙে বুধবার হঠাৎই প্রকাশ্যে আসেন চিত্রনায়িকা সাদিকা পারভীন পপি। জানান অনেক অজানা কথা। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বিদায়ী কমিটির এক নেতাকে ইঙ্গিত করে তার বিরুদ্ধে করেন নানা অভিযোগ। এবার একটি টেলিভিশনের লাইভে এসে সরাসরি সেই নেতার নাম উল্লেখ করে নায়িকা অভিযোগ করলেন, ওই নেতা নাকি তার বুকে পিস্তল ঠেকিয়ে নানা হুমকি ধামকি দিয়েছিলেন।

নিশ্চয়ই এতক্ষণে চিনে ফেলেছেন সেই নেতাকে? হ্যা, তিনি শিল্পী সমিতির বিদায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান। এবারের নির্বাচনেও তিনি মিশা সওদাগরের প্যানেল থেকে একই পদে লড়ছেন।

বৃহস্পতিবার রাতে পপি ওই ভিডিওকলে দাবি করেছেন, জায়েদ খান তার কাছ থেকে টাকা ধার করে একটা পিস্তল কিনেছিলেন। পরে সেই পিস্তলই তার বুকে ঠেকিয়েছিলেন। নায়িকা বলেন, ‘আমি একটা জায়গায় শুটিং করছিলাম। সে সময় জায়েদ খান সেখানে গিয়ে বলেন, জরুরি একটা কথা আছে। পরে আমি শুটিং শেষ করে গাড়িতে গিয়ে বসলাম। এরপর জায়েদ হঠাৎই আমার কানের পাশ দিয়ে ধম ধম করে গুলি ফোটালো। ভয় পেয়ে গেলাম খুব। আমি তো এসব দেখে অভ্যস্ত না।’

নায়িকার অভিযোগ, ‘একটু পর সেই পিস্তলের নল আমার বুকে ঠেকিয়ে জায়েদ খান বলেন, ‘বেশি বাড়বাড়ি করার দরকার নেই। যতটুকু পারো কাজবাজ করে চলচ্চিত্র থেকে বেরিয়ে যাও। আমাকে বিভিন্ন রকম হুমকি-ধামকি দিতে থাকল। আমার ভাই-বোন নিয়ে মোটামুটি একটা থ্রেটই দিল। আমার ভাই ছোট, বলল তার নামে কেস করা হবে, বিভিন্ন জায়গায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে। বোনরা বিয়ে শাদি করেনি, তাদেরও প্রবলেম হবে।’

কিন্তু এ বিষয়ে কি কোনো পদক্ষেপ নেননি পপি? অভিনেত্রীর কথায়, ‘অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। কেউ আগায়, কেউ আগায় না। ইন্ডাস্ট্রিকে মোটামুটি জবরদখলের জায়গায় নিয়ে গেছেন জায়েদ খান। সবাইকে ভয় দেখান। প্রশাসন তার হাতে। কিছু হলে প্রশাসনের ভয় দেখান। মামলার ভয় দেন। আমি তো মেয়ে মানুষ। আমি এখানে কাজ করতে এসেছি। আমার পেশা অভিনয় করা, কারও সঙ্গে যুদ্ধ করা না।’

পপির দাবি, নিজের সঙ্গে ঘটা এসব ঘটনার কথা তিনি মিশা সওদাগরকেও জানিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি কোনো পদক্ষেপ নেননি বলে অভিযোগ পপির। ওই সময় মিশা নাকি পপিকে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, আমরা এসব কিছু জানি না। যদিও পরে মিশা জায়েদকে দিয়ে পপির কাছে মাফ চাইছিলেন বলেও স্বীকার করেন নায়িকা। বলেন, ‘হ্যা, জায়েদ সবার সামনে আমার কাছে হাতজোড় করে মাফ চেয়েছিল। বলেছিল, এসব আর করব না।’

কিন্তু পপির মতো একজন জনপ্রিয় নায়িকার সঙ্গে জায়েদ খানের কেন এমন আচরণ? কোন অধিকার তার প্রতি? এফডিসিতে কান পাতলে এখনও শোনা যায় জায়েদ-পপির প্রেমের গুঞ্জন। গোপনে তাদের বিয়ে হয়েছিল বলেও গুঞ্জন। বিয়ে করে তারা নাকি রাজধানীর ইস্কাটনে বাসা ভাড়া করে থাকতেন। ২০২০ সালের শুরুতে তাদের বিয়ের কাবিননামার একটি ছবিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে, যা তাদের বিয়ের গুঞ্জনকে আরও জোরালো করে।

এছাড়া ইস্কাটনের বাসায় জায়েদ-পপির বিয়ের প্রথম বার্ষিকী পালনের ছবিও ফাঁস হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। কিন্তু এসব গুঞ্জনের কথা কখনও স্বীকার করেননি পপি বা জায়েদ। ২০২০ সালে লাপাত্তা হওয়ার আগে দেওয়া একটি টিভি সাক্ষাৎকারে পপি বলেছিলেন, ‘বিয়ে করলে লুকিয়ে করব না, সবাইকে জানিয়ে করব। আপাতত বিয়ের কোনো চিন্তা নেই। যখন করব, তখন সবাই জানতে পারবেন।’

এর আগে বুধবার ফেসবুক লাইভে এসে পপি জায়েদ খানের নাম না করে বলেন, বর্তমান সমিতির এক নেতা তার ক্যারিয়ার নষ্ট করে দিয়েছে। শিল্পী সমিতি থেকে তার সদস্যপদ বাতিলের জন্য চিঠি দিয়েছে। তার পলিটিক্স, তার নোংরামি এবং অনেক রকম অপকর্মে অসহযোগিতার কারণে আমাকে বার বার অপমানিত হতে হয়েছে। পাশাপাশি এবারের নির্বাচন ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেলকে ভোট দিয়ে জয়ী করতে তিনি সকলের প্রতি আহ্বানও জানান।

ঢাকাটাইমস/২৮জানুয়ারি/এএইচ

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বিনোদন এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :