সবজির চড়া দামে ক্রেতাদের অসন্তোষ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৮ জানুয়ারি ২০২২, ১৩:৩৪ | প্রকাশিত : ২৮ জানুয়ারি ২০২২, ১৩:১৭

সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে অপরিবর্তিত রয়েছে সব ধরনের সবজির দাম। গত সপ্তাহের মতোই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি। শীতের মৌসুমে সবজির এমন চড়া দাম নিয়ে ক্রেতাদের মাঝেও রয়েছে অসন্তোষ। তবে পর পর দুই সপ্তাহ কমেছে মুরগির দাম।

শুক্রবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, শ্যামলী সমবায় বাজার, আগারগাঁও বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে বাজার দরের এ চিত্র পাওয়া গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজধানীর বাজারগুলোতে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির কেজি ছিল ১৫০ টাকা এবং তার আগের সপ্তাহে ছিল ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা। সেই সঙ্গে সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা, যা গত সপ্তাহে কেজি ছিল ২৫০ টাকা এবং তার আগের সপ্তাহে ছিল ২৬০ টাকা। এছাড়া লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২৫ থেকে ২৩০ টাকা। যা গত সপ্তাহেও কেজি ছিল ২৩০ টাকা। তবে তার আগের সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা।

আগারগাঁও বাজারের মুরগি বিক্রেতা জীবন বলেন, শীতে সাধারণত মুরগির দাম কমে। আমদানিও বাড়ে। গরমের সময় প্রচুর মুরগি মারা যায়। ফলে লোকসান ঠেকাতে মুরগির দাম বৃদ্ধি করা হয়।

তিনি বলেন, বাজারে বর্তমানে যে পরিমান মুরগির আমদানি রয়েছে সে অনুযায়ী চাহিদা ও বিক্রি কম। তাই বাজারে মুরগির দাম কমেছে।

এদিকে সরেজমিনে রাজধানীর সবজি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বিগত সপ্তাহগুলোর মতই বাজারে এখনও চড়া দামে সবজি বিক্রি হচ্ছে। শীতকালীন সবজির আমদানি বাড়লেও দামে কোনো প্রকার প্রভাব পরছে না এসব সবজির। ফলে শীতে সবজির ভরা মৌসুমেও এমন চড়া দাম নিয়ে ক্রেতাদের মাঝেও রয়েছে অসন্তোষ।

এসব বাজারে প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা, গোল বেগুন ৮০ টাকা, লম্বা বেগুন ৪০ টাকা, বড় ফুলকপি প্রতি পিস ৪০ টাকা, বড় বাঁধাকপি ৪০ টাকা, টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, গাঁজর প্রতি কেজি ৪০ টাকা, চাল কুমড়া পিস ৩০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, নতুন আলু কেজি ২৫ থেকে ৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, লতি ৬০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, আকারভেদে প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা, পেঁপে প্রতিকেজি ৩০ টাকা, কাঁচা কলার হালি ২৫ থেকে ৩০ টাকা এবং কাঁচামরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা।

এম রহমান নামে এক ক্রেতা বলেন, শীতকাল এলে আমরা মনে করি অন্তত সবজির দাম কমবে। কিন্তু ঢাকায় শীত মৌসুম শেষ হয়ে যাচ্ছে, তবুও সবজির দাম চড়া। সরকারের নজর দেওয়া উচিত এ দিকে।

সামিউল ইসলাম নামে আরেক ক্রেতা বলেন, ঢাকায় সবজি আসতে পথে পথে চাঁদা দিতে দিতে ব্যবসায়ীদের যে ব্যয় বাড়ে, সেই খরচ এসে পড়ে আমাদের মতো খুচরা ক্রেতাদের ওপর। আবার পাইকাররা সিন্ডিকেট করেও পণ্যের দাম বাড়তি রাখেন। ফলে খুচরা ব্যবসায়ীরা বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করেন। সংশ্লিষ্টরা বড় বড় কথা না বলে মাঠে নেমে এসব চাঁদাবাজি, সিন্ডিকেট বন্ধে কঠোর হওয়া উচিত।

এদিকে বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা কেজি। ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি। যা গত সপ্তাহে ছিল ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। দাম কমে পুরান ও নতুন আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। চায়না রসুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা। দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি। দেশি আদার কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা। চায়না আদা বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা।

সবজির বিক্রেতা আনিস হোসেন বলেন, আমাদের বেশি দামে পাইকারি বাজার থেকে সবজি কিনে আনতে হয় তাই কিছু লাভ না হলে কেমন করে চলবো। বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।

চলতি মৌসুমে সবজির দাম না কমার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি সঠিক কোন তথ্য দিতে পারেন নাই তবে তিনি বলেন, দিন দিন শীত চলে যাবে বাজারে শীতের সবজির আমদানি কমবে। দবে দাম কমার সম্ভাবনা অনেক কম।

সরেজমিনে রাজধানীর মাছবাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের মতই এই সপ্তাহে এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা প্রতি পিস, ছোট ইলিশ মাছ কেজি প্রতি ৩৫০ থেকে শুরু করে ৬০০ টাকা পর্যন্ত। চিংড়ি মাছ ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি। রুই মাছ ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা। কাতল মাছ ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা। তেলাপিয়া ও পাঙাশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা।

এছাড়া বাজারে লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। সোনালী (কক) মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা।

(ঢাকাটাইমস/২৮জানুয়ারি/কেআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

অর্থনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অর্থনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :