কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে আরও বিনিয়োগের প্রয়োজন: পরিকল্পনামন্ত্রী
গ্রামের মানুষের ঘরের দোরগোড়ায় পরম বন্ধু হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে আরও বিনিয়োগের প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
মন্ত্রী বলেন, ‘কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে আমরা গ্রামের মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছাতে পেরেছি। অসুস্থ হলেই মানুষকে এখন আর শহরে দৌড়াতে হয় না। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে আরও ইনভেস্টের প্রয়োজন।’
শুক্রবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে তিন দিনব্যাপী অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক সম্মেলনের শেষ দিনে এসব কথা বলেন তিনি।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকের সৌজন্যে গ্রামের মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে পেরেছি। অসুস্থ হলেই মানুষকে এখন আর শহরে দৌড়াতে হয় না। পাশের কমিউনিটি ক্লিনিকে গিয়েই জরুরি সেবাসহ নানা রকমের ওষুধ সেখানে তারা পান। আমি আমার গ্রামের চেয়ারম্যান, মেম্বার, মাতব্বরদের সাথে কথা বলে দেখেছি, তারা সবসময় কমিউনিটি ক্লিনিককে উচ্চ মার্ক দিয়েছেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে আরও ইনভেস্ট করার প্রয়োজন আছে। যদিও সেখানে জায়গা কম, ছোট দুইটা রুম, তবুও প্রতিটি আরও দুই/তিনটা করে শয্যা বাড়ানো যায় কি না, আরও কিছু প্রাথমিক সুযোগ সুবিধা যোগ করা যায় কি না, রোগ শনাক্তের জন্য কিছু যন্ত্রপাতি বিশেষ করে এক্স-রে, ইসিজি জাতীয় কিছু যোগ করা যায় কি না, এগুলো আমাদের চিন্তা করা দরকার।
গ্রামাঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় নজর দিতে হবে জানিয়ে এম এ মান্নান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রথম টার্গেটই হলো গ্রাম ও গ্রামে যারা বসবাস করেন বিশেষ করে যারা সরাসরি ক্ষেতে খামারে, বিলে ঝিলে কাজ করেন, তাদের কল্যাণের জন্য কিছু করা। সেই জন্য কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে আরও সুযোগ সুবিধা বাড়াতে হবে।
কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর জন্য আমরা গর্ববোধ করি জানিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমি যখনই গ্রামে যাই, তখন রাস্তায় কমিউনিটি ক্লিনিকে নামি, ভেতরে ঢুকি, তাদের কার্যক্রম দেখি। আমার কাছে খুবই জীবন্ত মনে হয়।
(ঢাকাটাইমস/২৮জানুয়ারি/কেআর/এমআর)