দুর্গম পাহাড়ে সেনা-জেএসএস গোলাগুলির ঘটনায় ওয়ারেন্ট অফিসার নিহত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৫:৪৬ | প্রকাশিত : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৩:৩৫

বান্দরবানের রুমার দুর্গম পাহাড়ে সেনাবাহিনীর একটি টহল দলের সঙ্গে জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় (সন্তু) লারমা সমর্থিত জেএসএস মূল দলের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে গোলাগুলির ঘটনায় একজন সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার নিহত হয়েছেন। তার নাম হাবিবুর রহমান। সেনাবাহিনীর পাল্টা গুলিতে জেএসএসের তিন সদস্যেরও মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় সেনাবাহিনীর একজন সৈনিক আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

পরে অভিযানে সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত একটি এসএমজি, ২৪৯ রাউন্ড তাজা গুলি, তিনটি অ্যাম্যুনিশন ম্যাগাজিন, তিনটি গাদা বন্দুক, গাদা বন্দুকের ৫ রাউন্ড গুলি, ৪ জোড়া ইউনিফর্ম এবং চাঁদাবাজিদের নগদ ৫২,৯০০ টাকা জব্দ করা হয়েছে। বুধবার রাত সাড়ে দশটার দিকে এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর-আইএসপিআর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

আইএসপিআর জানায়, জেএসএসপন্থী সন্ত্রাসীদের একটি দল রুমা উপজেলার বথিপাড়া এলাকায় চাঁদাবাজির উদ্দেশে আসবে- এমন তথ্যের ভিত্তিতে রাইং খিয়াং লেক আর্মি ক্যাম্প থেকে সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবের নেতৃত্বে একটি নিরাপত্তা টহল দল ওই এলাকায় রওনা হয়। রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে দলটি বথিপাড়া এলাকায় পৌঁছালে নিকটস্থ একটি জুম ঘর থেকে সন্ত্রাসীরা সেনা টহল দলের ওপর অতর্কিত গুলি চালায়। সেনা টহল দলটির দ্রুত প্রতিক্রিয়া এবং সাহসী পাল্টা হামলায় জেএসএস মূল দলের তিন সশস্ত্র সন্ত্রাসী বন্দুকযুদ্ধে গুলিবিদ্ধ হওয়ার আলামত পাওয়া যায়। এ সময় সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি গুলিতে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে টহল কমান্ডার সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবুর রহমান ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন এবং সৈনিক ফিরোজ নামে একজন সেনাসদস্য ডান পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। নিহত এবং আহত সেনা সদস্যদেরকে আজ বৃহস্পতিবার সকালে রুমা থেকে চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে হেলিকপ্টারে আনা হয়।

আইএসপিআর আরও জানায়, ঘটনার পরপরই ওই এলাকায় সেনা টহলের পাশাপাশি ব্যাপক তল্লাশি এবং স্থানীয় জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে সেনাবাহিনী। জীবনের ঝুঁকি নিয়েও সেনা সদস্যরা নিরীহ পার্বত্য জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা রক্ষায় তৎপর রয়েছে।

কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রামে বিদ্যমান আঞ্চলিক দলসমূহ হত্যা, গুম, চাঁদাবাজি ইত্যাদি দুষ্কৃতিমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনার মাধ্যমে পাহাড়ে নিরীহ সাধারণ মানুষের জনজীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে, যা পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকারের উন্নয়ন প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করছে। এ পরিস্থিতিতে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী বুকের রক্ত দিয়ে হলেও দেশের স্বাধীনতা, ভূখণ্ড রক্ষা এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখার জন্য বদ্ধপরিকর।

(ঢাকাটাইমস/০৩ফেব্রুয়ারি/এসএস/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :