ক্রসম্যাচিং ছাড়াই রক্ত দান, প্রসূতি-নবজাতকের মৃত্যু

মাগুরা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ২১:২১ | প্রকাশিত : ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ২০:২০

মাগুরা সদরে `নিউ আল বারাকা প্রাইভেট ক্লিনিকে’ এক প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত প্রসূতি রাশিদা বেগম (২৬) মাগুরা সদর উপজেলার খর্দকুছুন্দি গ্রামের রমজান শেখের স্ত্রী। প্রসূতির তিনটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তিনি একটি ছেলে সন্তানের আশায় মা হতে চেয়েছিলেন।

রাশিদার শ্বশুর মাখন শেখ অভিযোগ করেন, তার পুত্রবধূ রাশিদা বেগম (২৪) সন্তান প্রসবের জন্য শুক্রবার রাতে জেলা শহরের হাসপাতালপাড়ায় নিউ আল বারাকা প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি হন। রাতে মাগুরা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক দিলারা আকবর লাবনি ওই ক্লিনিকে রাশিদা বেগমের অস্ত্রোপচার করেন। রাশিদা এ সময় একটি ছেলে সন্তান জন্ম দেন। কিন্তু এর আগে রক্তের প্রয়োজন হলে ‘ও পজেটিভ’ রক্তের পরিবর্তে ক্লিনিকের প্যাথলজিতে থাকা ‘এবি’ পজেটিভ রক্ত দেয়া হয়। এতে জন্মের প্রায় ১৫ মিনিট পরই নবজাতক মারা যায়। অন্যদিকে রক্তের ভুল ব্যবহারে অসুস্থ হয়ে পড়েন রাশিদা বেগম। যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকেন তিনি। উপায় না দেখে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ তাকে দ্রুত ঢাকার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার ভোরে রাশিদার মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে চিকিৎসক দিলারা আকবর লাবনি বলেন, ‘রোগীর শরীরে অস্ত্রোপচার করার ক্ষেত্রে তেমন কোনো সমস্যা দেখা দেয়নি। তবে গর্ভে পানির স্বল্পতা ছিল। সে কারণে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। রাশিদা বেগমের কিডনি জটিলতা ছিল। রাশিদার শরীরে রক্ত দিয়েছে ক্লিনিক কতৃর্পক্ষ। এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।’

মাগুরা প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘ওই ক্লিনিকে প্যাথলজির কোনো অনুমোদন নেই। এমনকি ক্লিনিকের অনুমোদনের বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। ভুল রক্ত দেয়ার কারণে ওই প্রসূতি ও নবজাতকের এ ধরনের মৃত্যুর ঘটনা দুঃখজনক। মাগুরা সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে ইতোমধ্যে ৭টি অবৈধ ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আরও কয়েকটি ক্লিনিক তালিকায় রয়েছে। প্রভাবশালী মহল অবৈধ ক্লিনিক ব্যবসার সাথে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে জড়িত থাকায় অবৈধ ক্লিনিকবিরোধী অভিযান নানাভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে’।

সিভিল সার্জন ডাক্তার শহীদুল্লাহ দেওয়ান বলেন, ‘প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যুর বিষয়টি আমি জেনেছি। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীদের অভিযোগে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এদিকে আল বারাকা ক্লিনিকের মালিক সাইফুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি।

(ঢাকাটাইমস/৭ফেব্রুয়ারি/এআর/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :