চুয়াডাঙ্গায় শিশুকে গলাকেটে হত্যা

প্রকাশ | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৮:৪৮

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

চুয়াডাঙ্গায় শিশুকে গলাকেটে হত্যচুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় ইয়ামিন হোসেন নামে ৯ বছর বয়সী এক শিশুকে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে।

শনিবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের কানাইডাঙ্গা গ্রামের একটি আমবাগানে থেকে তার লাশ উদ্ধার করে স্থানীয়রা।

নিহত ইয়ামিন কানাইডাঙ্গা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের নাতি ও দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর গ্রামের সেলিম রেজার ছেলে এবং স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল। বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের পর মায়ের সঙ্গে নানার বাড়িতে থাকত ইয়ামিন।

ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত জাহিদ পলাতক রয়েছেন। জাহিদ হাসান (১৬) কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড কানাইডাঙ্গা গ্রামের মেম্বার আশাদুল ইসলামের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, দুপুরে বন্ধুরা মিলে বাড়ির পাশে খেলা করছিল ইয়ামিন ও তার বড় ভাই ইমন। এসময় আশাদুল ইসলামের ছেলে জাহিদ হাসান ৩০ টাকা দিয়ে মুড়ি কেনার জন্য ইয়ামিনকে দোকানে পাঠায়। মুড়ি কেনার পর অবশিষ্ট থাকা ১০ টাকা খরচ করে ফেলে ইয়ামিন। পরে জাহিদ বাকি টাকা চাইলে ইয়ামিন দিতে না পারায় তাকে দড়ি দিয়ে গাছের সাথে বেঁধে মারধর করে। এসময় ইয়ামিনের বড় ভাই ইমন ভয় পেয়ে পালিয়ে এসে ঘটনা বাড়িতে জানালে পরিবারের লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে বাড়ির পাশে আম বাগানে ইয়ামিনের গলাকেটে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। পরে পুলিশে খবর দিলে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ। হত্যায় ব্যবহৃত হাসুয়াটি এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। শিশু ইয়ামিনের হত্যাকারী জাহিদকে আটক করতে পুলিশ অভিযান চালানো হচ্ছে। হত্যায় ব্যবহৃত রক্তাক্ত হেসোয়াটি এখনো উদ্ধার করা যায়নি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হচ্ছে।

তিনি বলেন, শিশু ইয়ামিনকে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/১২ফেব্রুয়ারি/এলএ)