পাঁচ বছরে কোনো কাজে আসেনি সেতুটি

প্রকাশ | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৩:৩৮

এম. মনিরুজ্জামান, রাজবাড়ী

রাজবাড়ী সদরের পাচুরিয়া ইউনিয়নের মরডাঙ্গা খালের ওপর নির্মিত একটি সেতু। উপজেলার পাচুরিয়া ইউনিয়নের মরডাঙ্গা খালের ওপর নির্মিত এ সেতু।

সংযোগ সড়কজুড়ে মেহগনি গাছের বাগান। পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও স্বাভাবিক চলাচলের উপযোগী হয়নি। চলতে পারে না কোনো প্রকার যানবাহন। সেতুটি নির্মাণের পর থেকে এখন পর্যন্তও মানুষের কোনো উপকারে আসছে না। বরং রাজবাড়ীর এ সেতুটি এলাকাবাসীর গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এসএম মনোয়ার মাহমুদ বলেন, সেতুর সংযোগসড়ক করার জন্য তৎকালীন পাচুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী আলমগীরকে একাধিকবার তাগিদ দেওয়া হয়েছিল। তারপরেও তিনি কাজটি করেননি। কেন করেনি সেটা বুঝতে পারছি না। সাবেক চেয়ারম্যান এ রকম আরো অনেক আজব প্রকল্প করেছেন। যা এখন খতিয়ে দেয়া হবে। এখন চেয়ারম্যান পরিবর্তন হয়েছে। নতুন চেয়ারম্যানকে বলে সেতু চলাচলের উপযুক্ত করা হবে।

প্রকল্প কর্মকর্তা আরো জানান, রাজবাড়ী সদর উপজেলার পাচুরিয়া ইউনিয়নের মরডাঙ্গা খালের ওপর ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে এমনই এক সেতু নির্মাণ করা হয়েছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, এলাকাবাসীর স্বার্থে নয়, ব্যক্তি স্বার্থে এমন আজব সেতু নির্মাণ করা হয়েছে।

উপজেলা মরডাঙ্গা খালের ওপর ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। ২৮ লাখ ৯ হাজার ৯৪৫ টাকায় ৩৬ ফুট দীর্ঘ নির্মিত সেতুটি স্থানীয় সাংসদ কাজী কেরামত আলী উদ্বোধন করেন। পাঁচ বছর কেটে গেলেও নেই কোন সংযোগ সড়ক।

সেতুটির এক পাশে ব্যক্তি মালিকানা জমিতে রয়েছে মেহগনি গাছের বাগান এবং খানাখন্দ। অন্যপাশ অনেক ঢালু। হেঁটে চলতে পারলেও কোনো যানবাহন চলাচল সম্ভব না। আর বর্ষাকালে হেঁটেও চলা যায় না।

এলাকাবাসী আরো বলেন, সেতুটি অপরিকল্পিত। ব্যক্তি স্বার্থে সেতু তৈরি করার কারণে সাধারণ মানুষের কোনো উপকারে আসছে না। এত টাকা ব্যয় করে সেতু তৈরি করলেও সংযোগ সড়ক তৈরি না করায় কোনো যানবাহন চলতে পারে না।

উল্লেখ্য, রাজবাড়ী সদর উপজেলা প্রকল্প অফিস বানীবহ, খানগঞ্জ, রামকান্তপুর ও চন্দনী ইউনিয়নে এ রকম আরো কয়েকটি আজব সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। যা  কোনদিনই মানুষের চলাচলের উপযোগী হয়নি। সরকারি অর্থের অপচয় হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১৩ফেব্রুয়ারি/এলএ)