মুজিববর্ষে আশ্রয়ণ প্রকল্পে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর হচ্ছে আরও ৫০ হাজার

মাগুরা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৬:২৩ | প্রকাশিত : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৬:১৫

মুজিববর্ষে আশ্রয়ণ প্রকল্পে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়েছে ৩১০টি ভূমি ও আশ্রয়হীন পরিবার। তৃতীয় ধাপে আরও ৫০ হাজার ঘর নির্মাণের কাজ চলমান। এরই অংশ হিসেবে মাগুরায় তৈরি হচ্ছে ২৪৪টি ঘর। প্রতিটি ঘর তৈরিতে খরচ হচ্ছে ২ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। এ প্রকল্পের মাধ্যমে আশ্রয়হীন মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থা বদলে যাবে বলে আশা করছে সংশ্লিষ্টরা। সারি সারি রঙীন ঘর, এ যেন এক রঙীন স্বপ্ন। রঙীন টিন দিয়ে তৈরি মাগুরা শালিখা উপজেলার শতখালী ইউনিয়নে সুদৃশ্য ফকিরের বাছড়া আশ্রয়ণ প্রকল্প এরই একটি।

এ আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পেয়েছেন তাহমিনা পারভীন। ভূমিহীন দিনমজুর স্বামীর সংসারে প্রধানমন্ত্রীর উপহার পাওয়া ঘরটিতে ধীরে ধীরে সাজাচ্ছেন তার স্বপ্নের সংসার। ফ্রিজ, গ্যাসের চুলা ও টিভিসহ ঘর সাজানোর নানা উপকরণে ক্রমে এগিয়ে চলছে সমৃদ্ধির পথে। এখন স্বপ্ন দেখেন, সন্তানকে মানুষের মতো মানুষ করে গড়ে তোলার। অন্য বাসিন্দারাও তার মতো স্বপ্ন দেখছেন।

শতখালি ফকিরের বাছড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পাওয়া নাছিমা বেগম বলেন, ‘ছাগল পুষি, গরু পুষি, শিম গাছ লাগাইছি, লাউ গাছ লাগাইছি। আমার সংসার ভালোভাবে চলে যাচ্ছে’।

ছেলের সঙ্গে বসবাস করা ৯০ বছর বয়সী বৃদ্ধা বলেন, ‘আমি ঘর পাইছি, অনেক সুখী লাগছে।’

আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পাওয়া জব্বার মোল্লা বলেন, ‘১৫ -১৬ বছর পরের বাড়ি থাকছি। এখানে ঘর পাইছি। পায়ে (পেয়ে) আমি এখানে চলে আসছি। আমি খোঁড়া মানুষ, চলতে পারিনে। বাদাম-বুদাম বিক্রি করে কোনোরকম দিন চলে। ঘরডা পায়ে (পেয়ে) ভারী সুখী আছি।’

সোনাকুড় আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাস করা হরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস জানান, এখানে আমরা ১৩ ঘরে থাকি। ১০ ঘরে হিন্দু, ৩ ঘরে মুসলমা। মিলে মিশে থাকি কোনো সমস্যা নেই। উনাদের নামাজ পড়ার সময় উনারা নামাজ পড়ে। আমাদের পূজা করার সময় আমরা পূজা করি।

তৃতীয় ধাপে আরও বেশি মজবুত করে ৪৯ হাজার পাঁচশত ২৬টি ঘর আশ্রয়হীন পরিবারের জন্য নির্মিত হচ্ছে। গ্রেড ভিম ও আরসিসি পিলারের ওপর নির্মিত এ সকল ঘর আগের তুলনায় আরো বেশি টেকসই হবে বলে জানান মাগুরা এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শরিফুল ইসলাম ও সংশ্লিষ্টরা।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব হাসান জাহিদ তুষার, মাগুরা জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলম, মাগুরা এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শরিফুল ইসলাম, মাগুরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইয়াছিন কবির, শালিখা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তারিফ-উল হাসান, বিভিন্ন কর্মকর্তাসহ সাংবাদিকরা গত ৫ ফেব্রুয়ারি দিনব্যাপী মাগুরায় বিভিন্ন প্রকল্প ঘুরে দেখেন।

মাগুরা জেলা প্রশাসক জানান, বাংলাদেশ ছাড়া পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে এত সংখ্যক ভূমি ও গৃহহীন মানুষকে জমিসহ ঘর নির্মাণ করে তাদের পুনর্বাসন করেনি। বাংলাদেশই পৃথিবীর মধ্যে প্রথম নজির।

(ঢাকাটাইমস/১৩ফেব্রুয়ারি/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :