প্রথম দিনে ঢিলেঢালা বইমেলা, প্রস্তত হয়নি অনেক স্টল

প্রকাশ | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ২৩:৪১ | আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ২৩:৪২

বোরহান উদ্দিন, ঢাকাটাইমস

করোনার কারণে ভিন্ন প্রেক্ষাপটে নির্দিষ্ট সময়েরও দুই সপ্তাহ পর শুরু হলো প্রাণের একুশে বইমেলা। আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হওয়ার প্রথম দিন মঙ্গলবার মেলায় দর্শনার্থীও খুব একটা বেশি ছিল না। বইপ্রেমী অনেকে নড়াচাড়া করে দেখলেও বইয়ের ক্রেতাও তেমন ছিল না। তবে বিক্রেতারা আশা করছেন প্রতি বছর প্রথম দিকে বই বিক্রি তেমন হয় না।

এবারের মেলায় মোট ৫৩৪টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৭৬ ইউনিট স্টল বরাদ্দ পেয়েছে। কিন্তু মেলা নিয়ে কিছুটা সংশয় থাকায় অনেক স্টল এখনো যাত্রা শুরু করতে পারেনি।

মঙ্গলবার মেলা ঘুরে দেখা গেছে, পুরোপুরি তৈরি স্টলে যখন দর্শনার্থীরা ঢু মারছেন তখন পাশের অন্য স্টলে কাঠের মিস্ত্রি পেরেক ঠুকছেন কাঠের বেড়ায়! অনেক স্টলের পুরো কাঠামো তৈরি হলেও রঙ দেয়ার কারণে বই রাখা হয়নি। তবে এক-দুই দিনের মধ্যে পুরোপুরি স্টল তৈরি করে বিক্রি শুরু করে দিতে পারবেন বলে জানান স্টলের দায়িত্বপ্রাপ্তরা।

বসুন্ধরা পেপারের স্টলের দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন কর্মী ঢাকা টাইমসকে বলেন, আমাদের স্টল পুরো তৈরি। মালামাল কিছু চলে আনা হয়েছে। আশা করি কাল থেকে পুরোদমে বিক্রি শুরু করতে পারবো। মেলার সময় বাড়ালে বিক্রেতা ও ক্রেতা উভয়ের জন্যই ভালো হবে বলেও জানান এই কর্মী।

গবেষণা সংস্থা 'সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই)'র স্টলে দেখা গেছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে।

স্টল নির্মাণের সঙ্গে যুক্তরা জানান, শুরুর দিনেই স্টল চালু করার চিন্তা ছিল। কিন্তু সাজসজ্জার কিছু কাজ বাকি থাকায় শুরু করা যায়নি।

দ্বিতীয় দিন থেকে পুরোদমে শুরু হবে। ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া বইমেলা প্রাথমিকভাবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলার কথা বলা হয়েছে। তবে করোনার প্রকোপ কমে এলে মেলার সময় আরও বাড়ানো হবে।

মেলা উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যেও মেলার সময় বাড়ানোর ইঙ্গিত মেলেছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন পর্যন্ত (১৭ মার্চ) মেলা চালানোর ইচ্ছার কথা বলেছেন।

এবার মেলায় মোট ৫৩৪টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৭৬ ইউনিট স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একাডেমি প্রাঙ্গণে ১০২টি প্রতিষ্ঠানের জন্য রয়েছে ১৪২টি স্টল। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৪৩২টি প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয়েছে ৬৩৪টি স্টল। প্যাভিলিয়ন রয়েছে ৩৫টি। উদ্যান অংশে পুরো মেলায় প্যাভিলিয়নগুলো ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া এবারের মেলায় করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে স্বাস্থ্যবিধির ওপর জোর দিয়েছে আয়োজক কমিটি। সেই সঙ্গে বইমেলার অভ্যন্তরে খাবার স্টলে খাবার খেতে হলে টিকার সনদ বাধ্যতামূলক বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব আবুল মনসুর।

প্রতিদিন বেলা দুইটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত মেলা চলবে, তবে প্রবেশ করা যাবে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত। ছুটির দিনে মেলার দরজা খুলবে বেলা ১১টায় এবং একুশে ফেব্রুয়ারিতে সকাল আটটায়।

(ঢাকাটাইমস/১৫ফেব্রুয়ারি/বিইউ/জেবি)