লালমনিরহাটে হঠাৎ শিলাবৃষ্টি, ফসলের ব্যাপক ক্ষতি
লালমনিরহাট জেলায় প্রায় ২৫/৩০ মিনিট ধরে হঠাৎ শিলাবৃষ্টিতে কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে করে কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। অনেকে বলছেন, এই শীত মৌসুমের শেষ দিকে এরকম শিলাবৃষ্টি কখনো দেখা যায়নি।
সোমবার সন্ধ্যার দিকে হঠাৎ ঝড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। চলে প্রায় ২৫/৩০ মিনিট ধরে। এতে বিপাকে পড়েন জেলার হাজারো কৃষক। শিলাবৃষ্টিতে ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানান কৃষি সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, লালমনিহাটের পাঁচ উপজেলায় সোমবার সকাল থেকে সূর্যের দেখা মেলেনি। সারাদিন ছিল কনকনে শীত আর হিমেল হওয়া। এতে সাধারণ মানুষ বিশেষ করে খেঁটেখাওয়া মানুষ বিপাকে পড়েন। অনেকে ঘর থেকে বেরুতে পারেননি।
এদিকে লালমনিরহাটে সদরের বড়বাড়ি, আদিতমারীর কমলাবাড়ি ও কালীগঞ্জ উপজেলায় ব্যাপক শিলা ও বৃষ্টিপাত হয়েছে। শিলাবৃষ্টির কারণে আলু, পেঁয়াজ, রসুন, গম, ভুট্টা, ইরি ধান, তামাক ও আমের মুকুলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
সদর উপজেলার রাজপর ইউনিয়নের কৃষক ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘এমন শিলাবৃষ্টি জীবনে দেখি নাই বাহে আলু, পেঁয়াজ, তামাকের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পাঁচ বিঘার তামাক আর আলু ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। শিলাবৃষ্টির কারণে তামাকের পাতাগুলো ফুটো হয়ে গেছে। তাই এবার তামাকের ক্ষতি কোনভাবেই পোশানো সম্ভব নয়।’
কালীগঞ্জ উপজেলার চলবালা ইউনিয়নের কৃষক শাহজাহান আলী জানান, ‘জমিতে আলু লাগাইছি- এই শিলাবৃষ্টিতে আলুর ক্ষতি হয়েছে। আলু আবাদে যে টাকা ব্যয় হয়েছে, এই শিলাবৃষ্টির কারণে আলুতে এখন সে টাকা উঠবে না। সব আলু পচে নষ্ট হয়ে যাবে।’
আদিতমারী উপজেলার কমলাবাড়ী ইউনিয়নের কৃষক বাহার উদ্দিন জানান, ‘বিকাল থেকেই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছিল। সন্ধ্যায় হঠাৎ ঝড়ো হাওয়া বইতে থাকে। এর একটু পরেই শুরু হয় প্রচুর শিলাবৃষ্টি। এতে বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।’
লালমনিরহাট জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শামীম আশরাফ জানান, সদর উপজেলায় ও কালীগঞ্জ উপজেলাসহ বেশকিছু স্থানে প্রচুর শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এতে আলু, ভুট্টা, পেঁয়াজ, রসুন, মরিচ, তামাকসহ কৃষি ফসলের বেশ ক্ষতি হয়েছে। তবে ক্ষতির পরিমাণ এখন বলা সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, উপজেলা কৃষি উপ-সহকারীরা কৃষকের ফসলের ক্ষতির পরিমাণের তালিকা তৈরি করছেন। তালিকা হাতে পেলে ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারব।
(ঢাকাটাইমস/২১ফেব্রুয়ারি/এলএ)