গ্রিসে যাওয়ার পথে ফেনীর ‘নিখোঁজ’ যুবকের মৃত্যু

প্রকাশ | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ২২:৫৮

ফেনী প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

তুরস্ক সীমান্ত পাড়ি দিয়ে অবৈধভাবে গ্রিসে যাওয়ার পথে নিখোঁজ বাংলাদেশি যুবক আমিন উল্লাহ সুমন (২৬) মারা গেছেন। সুমন ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার চরদরবেশ ইউনিয়নের চরশাহাভিকারী গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। দুই ভাই, দুই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার ছোট।

৩১ জানুয়ারি সুমন অন্য ২০ জনের সঙ্গে গ্রিসে যাওয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন। স্থানীয় পুলিশ তাদের দুই দিন আটক রেখে আবার তুরস্কে পাঠায়। তুরস্কে ফেরার সময় প্রচণ্ড শীতে সুমনসহ আরও কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে সুমনকে ইস্তাম্বুলের একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। এর মধ্যে সোমবার জানা যায় সেখানে সুমনের মৃত্যু হয়েছে।

তীব্র শীতে অসুস্থ হয়ে ইস্তাম্বুলের একটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে সুমনের মৃত্যুর বিষয়টি জানা গেছে।

এর আগে গত ৩১ জানুয়ারি গ্রিসে যাওয়ার পথে তিনি নিখোঁজ হন বলে জানিয়েছিল পরিবার।

নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, চরচান্দিয়া ইউনিয়নের পূর্ববড়ধলী গ্রামের আব্দুর রহমান ইস্তাম্বুলের হাসপাতালে সুমনের মরদেহ শনাক্ত করেছেন। এরপরই তিনি বিষয়টি সুমনের ভাই সাইফুল ইসলামকে জানান। সাইফুল বর্তমানে গ্রিসে অবস্থান করছেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেন বলেন, সুমন জীবিকার তাগিদে উন্নত দেশে যেতে চেয়েছেন। তার মৃত্যুতে পরিবারে মাতম চলছে।

সুমনের বড় বোন নাসিমা আক্তার জানান, চরশাহাভিকারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১০ সালে এসএসসি পাস করেন সুমন। ২০২১ সালে জীবিকার তাগিদে দেশ ছেড়ে ওমান চলে যান। ছয় মাস ওমানে থাকার পর সেখান থেকে এক দালালের মাধ্যমে ইরাকে যান। সেখান থেকে প্রবেশ করেন তুরস্কে। পরে হবিগঞ্জের এক দালালের সঙ্গে তিন লাখ টাকা চুক্তি করে তুরস্ক সীমান্ত পাড়ি দিয়ে গ্রিসে যাওয়ার চেষ্টা করে একাধিকবার ব্যর্থ হন।

নাসিমা বলেন, ৩১ জানুয়ারি সুমন আমাদের জানিয়েছে, সে চতুর্থবারের মতো গ্রিসে যাওয়ার চেষ্টা করছে। এরপর থেকে তার কোনো খোঁজ পাচ্ছিলাম না। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তার মৃত্যুর বিষয়টি জানতে পারি। সুমনের স্ত্রী ও পাঁচ বছর বয়সী এক কন্যা সন্তান রয়েছে। সুমনের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে তার পরিবার।

(ঢাকাটাইমস/২৩ফেব্রুয়ারি/এলএ)