ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থেকে দূরে থাকার ঘরোয়া উপায়

প্রকাশ | ০৯ মার্চ ২০২২, ০৯:৫৮

স্বাস্থ্য ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস এবং অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রার কারণে রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়। এ ছাড়া কিছুক্ষেত্রে জিনগত সমস্যাও থাকে। ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা শরীরে বেড়ে গেলেই দেখা দিতে পারে একাধিক সমস্যা। এক্ষেত্রে শরীরে পিউরিন ভেঙে তৈরি হয় ইউরিক অ্যাসিড।

শরীরে তৈরি হওয়া অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড কিডনির মাধ্যমে দেহের বাইরে না বেরতে পারলে শরীরেই জমে। এক্ষেত্রে ইউরিক অ্যাসিড ক্রিস্টাল হিসেবে জমে অস্থিসন্ধিতে। এবার অস্থিসন্ধিতে এই ইউরিক অ্যাসিড জমার কারণে খুব ব্যথা হয়। জায়গাটা ফুলে যায়, হয়ে যায় লাল। এই সমস্যার নাম গাউট আর্থ্রাইটিস। এই রোগে আক্রান্ত মানুষের হাঁটা চলা বা হাত পা নড়ানোও হয়ে পড়ে দুষ্কর। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে গেলে নিতে হবে বেশকিছু সতর্কতা।

কয়েকটি ঘরোয়া উপায়েই ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থেকে দূরে থাকা সম্ভব বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই দ্রুত জেনে রাখুন সেই পদ্ধতি।

 

দুধ

দুধ খাওয়ার রেওয়াজ প্রায় আমাদের প্রতিটি পারিবারেই রয়েছে। এক্ষেত্রে দুধে রয়েছে ভালো পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজ। এগুলো শরীরে ভালো রাখতে পারে। এমনকী ইউরিক অ্যাসিডও কমাতে পারে।

 

ডিম

আপনি অবশ্যই খেতে পারেন ডিম। ডিমের মতো ভালো প্রোটিন আপনি খুঁজে পাবেন না। এক্ষেত্রে পিউরিন  কম থাকায় ইউরিক অ্যাসিডও বাড়ে না। একটা সেদ্ধ ডিমে থাকে ভিটামিন-এ, ফোলেট, ভিটামিন-বি-৫, ভিটামিন-বি-১২, ভিটামিন-বি-২, ফসফরাস, সেলেনিয়াম, ভিটামিন-ডি, ভিটামিন-ই, ভিটামিন-কে, ভিটামিন-বি৬, ক্য়ালশিয়াম, জিঙ্ক, ওমেগা-থ্রি ফ্য়াট।

 

কফি

কফির মধ্যে রয়েছে ক্যাফিন। এছাড়া এই পানীয়ের মধ্যে থাকা বেশকিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পারে শরীরের নানা সমস্যা দূর করতে। এমনকী কফি পারে ইউরিক অ্যাসিড কমাতে।

 

লেবু পানি

লেবু পানি মধ্যে রয়েছে ভালো পরিমাণ ভিটামিন সি। এছাড়া এই পানিতে রয়েছে সাইট্রিক অ্যাসিড। এই সাইট্রিক অ্যাসিড ও ভিটামিন সি আপনার শরীর থেকে অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড বের করে দিতে সক্ষম। এক্ষেত্রে পান করতে পারেন লেবু পানি। একটি লেবু একগ্লাস পানিতে মিশিয়ে পান করুন। দিনে দুইবার এভাবে লেবু পানি পান করুন। ফল পাবেন হাতেনাতে।

 

পেঁয়াজ

পেঁয়াজ আপনার শরীর থেকে অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিডও বের করে দিতে পারে। এক্ষেত্রে পেঁয়াজ কাঁচা খেতে পারলেই সবথেকে ভালো হয়। তাই আপনি সালাদ হিসেবে পেঁয়াজ খেতে পারেন। এভাবে কাঁচা পেঁয়াজ খেলে শরীরে বিপাকের সমস্যা মেটে। এছাড়া চাইলে পেঁয়াজের জুস করে নিয়ে খালি পেটে খেতে পারেন।

 

অ্যাপেল সিডার ভিনেগার

অ্যাপেল সিডার ভিনেগারে ভালো পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। তাই এই ভিনিগার শরীরে পিএইচ ব্যালেন্স রক্ষার পাশাপাশি কমাতে পারে ইউরিক অ্যাসিড। এক্ষেত্রে ২-৩ চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার নিয়ে খেয়ে ফেলুন। তারপর ধীরে ধীরে চাইলে খাওয়ার পরিমাণ বাড়াতে পারেন।

 

ঘুম

খাওয়ার পাশাপাশি বিপাক ভালো রাখতে চাইলে আপনাকে ঘুমাতে  হবে। ঘুমের সময়ও হওয়া উচিত ৭ ঘণ্টার বেশি। তবেই আপনি ভালো থাকতে পারবেন। এক্ষেত্রে শান্তির ঘুম চাই।

 

তবে মনে রাখবেন, এই ধরনের কোনও পদ্ধতি ব্যবহারের আগে আপনার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ সেরে রাখুন। তিনিই আপনাকে দিতে পারবেন সঠিক পরামর্শ।

(ঢাকাটাইমস/৯ মার্চ/আরজেড)