রামপালে গৃহবধূকে হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন

বাগেরহাট প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৯ মার্চ ২০২২, ১৯:০৮

ঘটনার ছয় বছর পরে বাগেরহাটের রামপালে এক গৃহবধূকে (২০) শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে স্বামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। আদালত একই সঙ্গে আসামিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়। বুধবার দুপুরে বাগেরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক মো. নূরে আলম আসামির উপস্থিতি এই রায় ঘোষণা করেন।

আসামি এমদাদুল ওরফে ইমদাদ সরদার (২৮) বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার গৌরম্ভা গ্রামের প্রয়াত রউফ সরদারের ছেলে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রণজিত কুমার মন্ডল মামলার নথির বরাতে এই প্রতিবেদককে বলেন, প্রেমের সম্পর্ক ধরে ২০১৬ সালের ২৩ এপ্রিল বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার গৌরম্ভা গ্রামের প্রয়াত রউফ সরদারের ছেলে পার্শ্ববর্তী মোরেলগঞ্জ উপজেলার আবুল বাশার ফকিরের মেয়ে মনিরা বেগমের রেজিস্ট্রির মাধ্যমে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে মনিরা তার স্বামীর বাড়িতে বসবাস করছিলেন। বিয়ের সময় মনিরার স্বামী ইমদাদ বেকার ছিলেন। যে কারণে বিয়ের কিছুদিনের মধ্যে মনিরার স্বামী তাকে যৌতুক আনার কথা বলে মাঝে মধ্যে শারীরিক নির্যাতন চালাতো। বিয়ের চার মাসের মাথায় ২০ আগস্ট রাতে ঘুমের মধ্যে হঠাৎ মনিরা মারা যায় বলে তার স্বামী ইমদাদ সরদার স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও তার পরিবারকে খবর দেন। পরে চেয়ারম্যান পুলিশকে জানালে পুলিশ গিয়ে মনিরার মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় এবং থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করে। মনিরার মৃত্যু নিয়ে তার বাবার সন্দেহ হলে তিনি ২০১৬ সালের ২২ নভেম্বর বাগেরহাটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করেন। আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে মোরেলগঞ্জ থানাকে ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন। মোরেলগঞ্জ থানার তৎকালিন উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রহিম ঘটনার তদন্তে নেমে বাগেরহাট সদর হাসপাতাল থেকে গৃহবধূ মনিরার ময়না তদন্ত প্রতিবেদন সংগ্রহ করে। তাতে মনিরাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করে চিকিৎসক দল। ওই পুলিশ কর্মকর্তা দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ১৬ এপ্রিল আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে প্রতিবেদন জমা দেন। আদালতের বিচারক ওই প্রতিবেদনের সূত্র ধরে আসামি এমদাদুল ওরফে ইমদাদ সরদারকে গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দেন। পরে আদালতের বিচারক দশজন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় যাবজ্জীবন কারাদন্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন।

আসামিপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ।

(ঢাকাটাইমস/৯মার্চ/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :