বইমেলায় শিশু লেখকের গল্পের বই ‘ঋক ও ইঁদুর ছানা’
প্রকাশ | ১৩ মার্চ ২০২২, ১১:২১ | আপডেট: ১৩ মার্চ ২০২২, ১১:২৪
শেষ হওয়ার পথে একুশের বইমেলা। বাবা-মায়ের হাত ধরে প্রতিদিনই শিশুরা আসছে এই মেলায়। স্টলে স্টলে ঘুরে বাবা-মায়ের সঙ্গে তারা খোঁজ নিচ্ছে তাদের জন্য কী বই এসেছে। এবার অনেক প্রকাশনা সংস্থা থেকে এসেছে শিশুদের গল্প, উপন্যাস, ছড়াসহ অনেক বই। তবে অনিরুদ্ধ ঋকের ক্ষেত্রে কিছুটা ভিন্নতার দেখা গেল। আগামী আগস্টে তার বয়স ৯ বছর পূর্ণ হবে।
ঋক বইমেলায় গিয়েছিল বাবার সঙ্গে। তবে বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে। কারণ বইমেলায় প্রকাশ পেয়েছে তার প্রথম গল্পের বই ‘ঋক ও ইঁদুর ছানা’। তার মতো এতো অল্প বয়সে নিজের লেখাটা বই প্রকাশ করেছে, এমন ক্ষুদে লেখকের সংখ্যা হাতেগোনা। আজকাল বেশিরভাগ শিশুই মোবাইল ফোন বা ট্যাবে আসক্তি। ঠিক এমন সময় ঋকের লেখা এ বইটি সমাজে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করল।
বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) বইমেলার মোড়ক উন্মোচন মঞ্চে শিশু লেখক ঋকের বাবা গায়ক সাব্বির নাসের সন্ধ্যা ৬টায় মোড়ক উন্মোচন করেন বইটির। বইটি প্রকাশ করেছে র্যামন পাবলিশার। বইমেলার ১৭৩ ও ১৭৪ নম্বর স্টলে পাওয়া যাচ্ছে বইটি।
বই প্রসঙ্গে লেখক ঋকের থেকে জানতে চাইলে সে বলে, ‘এই বইয়ে আমি ইঁদুর নিয়ে, বিড়াল নিয়ে, ম্যাকাও নিয়ে লিখেছি।’
সে জানায়, বইটির পাঠক তার মতোই ছোট ছোট বাচ্চারা। ঋক বলে, ‘বইটি পড়লে পশুপাখির সঙ্গে কীভাবে ভালো আচরণ করা যায়, কীভাবে যত্ন নেওয়া যায়, ছোট ছোট মুরগির বাচ্চাগুলোকে কীভাবে ভালোবাসা যায়- এসব জানা যাবে। তাদের সঙ্গে কীভাবে খেলতে হবে তাও জানা যাবে।’
বই প্রসঙ্গে ঋকের বাবা গায়ক সাব্বির নাসির বলেন, পশু পাখির জীবন রক্ষায় এই বয়সেই পাগলের মতো ছুটে বেড়ায় ঋক। এখন থেকেই অভয়ারণ্য তৈরি করার কথা বলছে। জায়গা লিজ নিয়ে সেখানে সে সব পরিত্যক্ত বা রেসকিউ করে পশুপাখি তার অভয়ারণ্যে রাখতে চায়।
তিনি আরও বলেন, প্রতিটি শিশুর নিষ্কলুষ পবিত্র একটা মন থাকে। প্রাকৃতিক উপায়েই বাচ্চাদের সঙ্গে প্রাণীর একটা গভীর প্রেম হয়ে যায়। যদি বাচ্চাদের সঙ্গে মা-বাবারাও একটু সহযোগিতা করে, তাহলে আরও বেশি সচেতন এবং প্রকৃতি বান্ধব সমাজ আমরা তৈরি করতে পারবো।
সাব্বির নাসির বলেন, বাচ্চাদের একটা ‘মিশন’ থাকে। সেই মিশনকে যদি আমরা ঠিক মতো রক্ষা করি, আমাদের বাচ্চারাই আগামী দিনের স্বর্ণ হবে। এটা অস্বীকার করার উপায় নেই।
২০১২ সালের ১১ আগস্ট ঢাকায় জন্ম হয় অনিরুদ্ধ ঋকের। ইবেনেজার ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে স্ট্যান্ডার টু’তে পড়াশোনা করছে সে। বই পড়া, ছবি আঁকা পছন্দ তার। বন্ধু বা মায়ের মতো করে পশু পাখির সঙ্গে সময় কাটায় সারাদিন। বাবার বক্তব্যে ঋক ‘লিটল বুদ্ধা’। বাসায় কারও দ্বারা পিঁপড়া হত্যা হলেও কষ্ট পায় ঋক। পশুপাখির প্রতি প্রেম থেকে শিশু বয়েসেই বই লিখেছে সে।
ঢাকাটাইমস/১৩ মার্চ/এএইচ