ফরিদপুরে ১২ বাস পোড়ানোর ঘটনায় মামলা, তদন্ত কমিটি

প্রকাশ | ১৩ মার্চ ২০২২, ১৭:৪৬

ফরিদপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

দুই হাজার কোটি টাকার অর্থপাচার মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ফরিদপুরের আলোচিত দুই ভাই সাজ্জাদ হোসেন বরকত এবং ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের মালিকানাধীন পুলিশের জিম্মায় থাকা সাউথ লাইন পরিবহনের ১২টি বাস পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে।

এ ঘটনার তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে এ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

অর্থপাচার মামলার আদালতের মাধ্যমে মোট সাউথ লাইন পরিবহনের ২২টি বাস আলামত হিসেবে জব্দ করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ঢাকা। জব্দ করা বাসগুলো রক্ষণাববেক্ষণের দায়িত্ব ছিল জেলা পুলিশের। এ বাসগুলো শহরের গোয়ালচামটস্থ ওজোপডিকো কার্যালয়ের সামনে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে পশ্চিম গোয়ালচামট মহল্লায় সাজ্জাদ হোসেন বরকাতের মালিকানাভুক্ত জায়গায় ছিল। এগুলোর মধ্যে ১০টি বাস সেড দিয়ে ঘেরা ছিল এবং ১২টি বাস ওই জায়গার পাশে নিচু জমিতে রাখা ছিল। গত শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে ১২টি বাস আগুনে পুড়ে যায়।

গত শনিবার রাতে ফরিদপুর কোতয়ালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল গফ্ফার বাদী হয়ে বাসগুলো পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনাকে নাশকতা উল্লেখ করে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় একটি মামলা করেন। এ মামলায় অজ্ঞাত ব্যাক্তিদের আসামি করা হয়।

এছাড়াও ফরিদপুরের পুলিশ সুপার রবিবার এ ঘটনার তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি করেন। এ কমিটির প্রধান করা হয়েছে অতিরক্তি পুলিশ সুপার (অপরাধ ও তদন্ত) মো. ইমদাদ হোসেনকে। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. হেলালউদ্দিন। আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে গঠিত কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, বাস পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনাটি তদন্ত কাজ শুরু করা হয়েছে। এ বাসগুলোর নিরাপত্তায় নিয়োজিত নৈশ্য প্রহরী শেখ মোহাম্মদ আলীকে জিজ্ঞাসাবদ করা হচ্ছে।

সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। যে বা যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১৩মার্চ/কেএম)