শিক্ষকের বিরুদ্ধে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ

প্রকাশ | ১৪ মার্চ ২০২২, ১৩:৩০

পঞ্চগড় প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

পঞ্চগড়ে একটি স্কুলে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে। শনিবার দুপুরে উপজেলা সদরের চাকলাহাট ইউনিয়নের ভাটিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকসহ স্থানীয়রা। হেনস্থার শিকার ওই ছাত্রীর পরিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগও করেছেন।

জানা গেছে, অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম হরিপদ রায়। তিনি ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। এ ঘটনায় রবিবার দুপুরে অভিভাবক, শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা  বিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুরে ওই বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় ক্লাসরুমে অভিযুক্ত শিক্ষকের কাছে উত্তরপত্র লেখার খাতা জমা দিতে যায় ওই শিক্ষার্থী। এ সময় তিনি কৌশলে ওই শিক্ষার্থীর শরীরের ষ্পর্শকাতর  স্থানে হাত দেন। যৌন হয়রানির চেষ্টাও করেন। এরপর ওই ছাত্রী সহপাঠী বা কাউকে কিছু না জানিয়ে স্কুল থেকে চলে যায়। বাড়ি গিয়ে বিষয়টি পরিবারকে জানায়। রাতেই অন্য শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসীদের মধ্যে বিষয়টি জানাজানি হয়।

এরপর রবিবার দুপুরে শিক্ষার্থীর অভিভাকসহ স্থানীয়রা প্রধান শিক্ষকের কাছে বিচারের দাবি জানায়। এ সময় স্থানীয় কয়েকশ অভিভাবক স্কুলের প্রধান শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন।

পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস  দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জয়ন্তী রানী রায় বলেন, এলাকার লোকজন বিদ্যালয়ে এসে সহকারী শিক্ষক হরিপদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।

চাকলাহাট ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে এর আগে আরও অনেক ছাত্রী  যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছে। ফের তার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ। এ  ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।

সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোসলিমদ্দিন শাহ বলেন, ‘সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে শিক্ষক হরিপদ রায়ের একটি অভিযোগপত্র পেয়েছি। ঘটনা তদন্তে উপজেলা সহকারী দুই শিক্ষা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সত্যতা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত শিক্ষক হরিপদ রায়ের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

(ঢাকাটাইমস/১৪মার্চ/এসএ)