প্রতিবন্ধী নারী হত্যায় প্রেমিক-প্রেমিকার যাবজ্জীবন

প্রকাশ | ১৪ মার্চ ২০২২, ১৬:১৯ | আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২২, ১৬:৩০

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

রাজধানীর কাফরুলে সামরিনা সুলতানা রুনা (৪০) নামে এক প্রতিবন্ধী নারীকে হত্যার মামলায় এক প্রেমিক-প্রেমিকা জুটির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফয়সল আতিক বিন কাদের এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন- মো. জুলহাস এবং তার প্রেমিকা ডলি আক্তার। আসামিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরও দুই মাস কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

সাজাপ্রাপ্ত ডলি জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছেন। আর জুলহাস কারাগারে রয়েছেন। 

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২০ ডিসেম্বর সামরিনা সুলতানা রুনাকে কাফরুল থানাধীন দক্ষিণ ইব্রাহিমপুরের বাসায় খুন করা হয়। এ ঘটনায় পরদিন তার বড় বোন রোজিনা সুলতানা অজ্ঞাতনামা দুইজনকে আসামি করে কাফরুল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর জুলহাস ও ডলিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।

মামলাটি তদন্ত করে ২০১৬ সালের ৪ নভেম্বর জুলহাস ও ডলিকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন পল্লবী জোনাল টিমের সাব-ইন্সপেক্টর মফিদুল ইসলাম আকন্দ। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ডলির ভাই জাকিরের (১৫) বিরুদ্ধে শিশু আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।

চার্জশিটে বলা হয়, জুলহাস ও ডলি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। সেখানে তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে তার পরিবারের অনিচ্ছায় পালিয়ে যায়। ভাসানটেকে তারা স্বামী-স্ত্রীর মতো বসবাস করেন। বিয়ের জন্য এক লাখ টাকা লাগবে। এজন্য জুলহাস ডলিকে টাকার জন্য চাপ দেন। টাকা দিতে না পারায় জুলহাস ডলিকে বলেন তার কথামত চলতে হবে। ডলি তাতে রাজি হন। পরে জুলহাস ডলিকে সামরিনা সুলতানা রুনার বাসায় নিয়ে যান। দারোয়ান তাদের বাসায় ঢুকতে বাধা দেন। ডলি দারোয়ানকে বলে তার মা ৫ম তলায় কাজ করেন। তারপরও দারোয়ান তাদের ঢুকতে দেননি। পরে সন্ধ্যার দিকে ডলি আবার বাসায় ঢোকার চেষ্টা করেন। ডলি দারোয়ানের সঙ্গে কথা বলার একপর্যায়ে জুলহাস বাসায় ঢুকে যান। পরে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে ডলি তার ভাই জাকিরকে নিয়ে ভেতরে চলে যান। জাকির সিঁড়িতে দাঁড়ানো ছিলেন। প্রথমে রুনার বাসায় কাজের জন্য দরজা নক করেন ডলি। রুনা না করে দেন। পরে পানি খাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন ডলি। রুনা পানি আনতে গেলে তারা বাসায় ঢুকে পড়েন। এরপর তারা রুনাকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন।

ঢাকাটাইমস/১৪মার্চ/ইএস