টাকা আত্মসাৎ: সিজিএ সমবায়ের সাবেক সভাপতির ডবল যাবজ্জীবন

প্রকাশ | ১৪ মার্চ ২০২২, ১৯:২২

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

ঢাকার সেগুনবাগিচার সিজিএ সমবায় ঋণদান সমিতি লিমিটেডের প্রায় আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে অডিটর ও সমিতির সাবেক সভাপতি মো. রফিকুল ইসলামের ডবল যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।

একই সঙ্গে মামলার অপর আসামি সমিতির ক্যাশিয়ার আবদুল কাদেরকে দুই মামলায় সাত বছর করে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার ঢাকার ৫ নম্নর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।

এছাড়াও আদালত এক মামলায় দুই আসামিকে ৫৮ লাখ ৭৪ হাজার ৬৩৫ টাকা টাকা এবং আরেক মামলায় এক কোটি ৭৪ লাখ ৮৭ হাজার ১৪৪ টাকা জরিমানা করেছেন। জরিমানার টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এদিন রায় ঘোষণার আগে আসামি রফিকুল ইসলাম আদালতে হাজির হন। রায় ঘোষণা শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ক্যাশিয়ার আবদুল কাদের জামিনে ছিলেন। এদিন তিনি আদালতে হাজির হননি। আদালত জামিন বাতিল করে তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।  

এক কোটি ৭৪ লাখ ৮৭ হাজার ১৪৪ টাকা এবং ৫৮ লাখ ৭৪ হাজার ৬৩৫ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৫ সালের ২৫ জানুয়ারি রমনা থানায় পৃথক দুটি মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক ফজলুল হক। মামলায় সমিতির সভাপতি রফিকুল ইসলাম, অডিটর জহিরুল ইসলাম এবং ক্যাশিয়ার আবদুল কাদেরকে আসামি করা হয়।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, আসামিরা সরকারি দপ্তরের অডিটর হিসেবে সুদীর্ঘকাল চাকরি করেন। কিন্তু তারা অসৎ উদ্দেশে সমিতির আয়-ব্যয়ের কোনো অডিট করাননি, যথাযথভাবে আর্থিক হিসাব ও রেকর্ডপত্র সংরক্ষণ বা হালনাগাদ করেননি। এমনকি দৈনিক/মাসিক/বার্ষিক আয়-ব্যয়ের ব্যালেন্সশিট তৈরি করেননি। নিয়মিত সভা বা সমিতির অন্যান্য সদস্যদের সমিতির আয়-ব্যয়ের হিসাব জানতে দেননি। তারা সমিতির অর্থ-সম্পদের রক্ষক হয়ে পরস্পর যোগসাজসে ২০১০ সালে এক কোটি ৭৪ লাখ ৮৭ হাজার ১৪৪ টাকা এবং ৫৮ লাখ ৭৪ হাজার ৬৩৫ টাকা আত্মসাৎ করেন।

মামলা দুটি তদন্ত করে ২০১৯ সালের ২৭ মার্চ রফিকুল ইসলাম ও আবদুল কাদেরকে অভিযুক্ত করে পৃথক দুটি চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক আবদুল ওয়াদুদ। জহিরুল ইসলাম মারা যাওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়।

২০২০ সালের ৫ মার্চ দুই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্য নেন।

(ঢাকাটাইমস/১৪মার্চ/ইএস)