হোসনি দালানে বোমা হামলা: জঙ্গি আরমানের ১০ ও কবিরের ৭ বছর কারাদণ্ড

প্রকাশ | ১৫ মার্চ ২০২২, ১২:০৪ | আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২২, ১৩:৫৯

নিজস্ব প্রতিবেদক

পবিত্র আশুরা উপলক্ষে তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতিকালে পুরান ঢাকার হোসনি দালানে বোমা হামলার মামলায় নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠী জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ-জেএমবির সদস্য আরমান ওরফে মনিরের ১০ বছর ও কবির হোসেনের সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বাকি ছয় আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।

ট্রাইব্যুনালে পাবলিক প্রসিকিউটর গোলাম সারওয়ার খান জাকির হোসেন ঢাকাটাইমসকে জানান, রায়ে আসামি আরমানের ১০ বছর ও কবির হোসেনকে সাত বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক। বাকি ছয়জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। তারা হলেন- রুবেল ইসলাম ওরফে সজীব, ওমর ফারুক মানিক, হাফেজ আহসান উল্লাহ মাহমুদ, শাহজালাল মিয়া, চান মিয়া, আবু সাঈদ রাসেল ওরফে সোলায়মান ওরফে সালমান ওরফে সায়মনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

মামলাটিতে জাহিদ হাসান ও মাসুদ নামে আরও দুই আসামি রয়েছেন। তারা নাবালক হওয়ায় তাদের বিচার শিশু আদালতে চলমান রয়েছে। 

২০১৫ সালের ২৩ অক্টোবর রাতে হোসনি দালান এলাকায় তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতিকালে জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) জঙ্গিরা বোমা হামলা চালায়। এতে সাজ্জাদ হোসেন সঞ্জু (১৬) জামাল উদ্দিন নামে দুজন নিহত ও শতাধিক আহত হন। ঘটনার দিন মারা যান সাজ্জাদ হোসেন আর জামাল উদ্দিন পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় রাজধানীর চকবাজার থানায় এসআই জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। প্রথমে মামলাটি চকবাজার থানা পুলিশ তদন্ত করে।  পরে এর তদন্তভার ডিবিতে স্থানান্তর করা হয়। মামলাটি তদন্ত শেষে ডিবি দক্ষিণের পুলিশ পরিদর্শক মো. শফিউদ্দিন শেখ ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে ১০ জনকে আসামি করে চার্জশিট অনুমোদনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠান। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর ওই বছরের অক্টোবরে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।

২০১৭ সালের ৩১ মে ১০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। এরপর মামলাটি ঢাকার অষ্টম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলি করা হয়। ওই আদালতে মামলার বাদী মো. জালাল উদ্দিন সাক্ষ্য দেন। 

এরপর ২০১৮ সালের ১৪ মে মামলাটি সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বদলি হয়। এ মামলার বিচারকালে ট্রাইব্যুনাল ৪৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। আসামিদের মধ্যে আরমান কবির আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গত ১ মার্চ রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে আজ রায়ের এ দিন ঠিক করেন আদালত। 

ঢাকাটাইমস/১৫মার্চ/ইএস