পণ্য মজুতকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের

প্রকাশ | ১৫ মার্চ ২০২২, ১২:২৩ | আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২২, ১৪:০৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

রান্নার অন্যতম অনুষঙ্গ সয়াবিন তেল মজুত করার দায়ে আটককৃতদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সয়াবিন তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য মজুতকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ এসেছে।

মঙ্গলবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদেশের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন রিটকারী আইনজীবী সৈয়দ মহিদুল কবির।

আদালত সয়াবিন তেল মজুত করার অভিযোগে আটকদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা প্রতিবেদন আকারে দাখিল করতে বলেছেন।

এ সময় ওএমএস নীতিমালা অনুযায়ী সারা দেশে চাল, আটা, তেল, পেঁয়াজ, ডাল রেশন কার্ডের মাধ্যমে দিতে বলা হয়েছে।

গত ৩ মার্চ সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আনেন তিন আইনজীবী। তারা সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো নিয়ে একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশের এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী সয়াবিন তেলের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়িয়ে দিয়েছে। ২ মার্চ বাজারে ক্রেতাদের কাছ থেকে এক লিটার খোলা সয়াবিনের দাম রাখা হয়েছে ১৭৫ টাকা। অথচ সরকার এক লিটার খোলা সয়াবিনের দাম ১৪৩ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে।

আদালত আইনজীবীদের যথাযথ প্রক্রিয়ায় রিট করার পরামর্শ দেন। সে অনুযায়ী রিট করেন আইনজীবীরা।

পরে ৬ মার্চ সয়াবিন তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে মনিটরিং সেল গঠন এবং নীতিমালা তৈরি করতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।

সুপ্রিম কোর্টের তিন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনির হোসেন, অ্যাডভোকেট সৈয়দ মহিদুল কবির ও অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ উল্লাহ এ রিট দায়ের করেন। বাণিজ্য সচিব, ভোক্তা অধিকার কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়েছে।

এর পর গত রবিবার রিটের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। ওইদিনের শুনানিতে আদালত বলেন, সব ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবার (অল ফুডস) এর দাম অন্তর্ভুক্ত করে আবেদন সংশোধন করে আসেন।

সোমবার আবেদন সংশোধন করে জমা দেয়া হয়। ওইদিন শুনানি গ্রহণ করলেও আদালত কোনো আদেশ দেননি। আজ মঙ্গলবার আদেশ দেন আদালত।

ঢাকাটাইমস/১৫মার্চ/বিইউ/এফএ